দক্ষিন প্রশান্ত সাগরে আছড়ে পড়লো চীনের অকেজো স্পেস ল্যাব

40
8
ডেস্ক রিপোর্ট
চীনের অকেজো স্পেস ল্যাব তিয়ানগং-১ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর খণ্ড খণ্ড হয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে মাঝামাঝি অংশের উপরে জ্বলেপুড়ে অবশিষ্ট অংশ পানিতে পড়েছে। বেইজিং একথা জানায়। চীনের মনুষ্যবাহী মহাকাশ প্রকৌশল দপ্তর জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ০০:১৫ টা) এটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করে।
এর আগে মহাকাশ কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেন, পৃথিবীতে এটির আছড়ে পড়া নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ ল্যাবটি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করার পরপরই এতে আগুন ধরে এর বেশীর ভাগই অংশ পুড়ে যাবে।
আগেই জানানো হয়েছিল, অকেজো হয়ে পড়া চীনের মহাকাশ ল্যাব তিয়ানগং-১ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। তবে কবে নাগাদ এটি আছড়ে পড়বে তখন তার সঠিক সময় নির্ধারণ করা যায়নি। আজ সোমবার গ্রিনিচ মান সময় ৮ টা ১৬ মিনিটে এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পড়েছে। খবরে বলা হয়, ল্যাবটির সাথে চীনের সব ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল বলে এর পতনের ওপর তাদের কোন নিয়ন্ত্রণ ছিল না।
শুক্রবার বেইজিং বলেছিল, মহাকাশ গবেষণাগারটির কোনো বড় অংশ পৃথিবীতে এসে পড়বে এমন সম্ভাবনা নেই। দশ মিটারের বেশি লম্বা নিষ্ক্রিয় এ মডিউলটির ওজন ৮ টনের বেশি। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে নিয়মিতভাবে পুনঃপ্রবেশ করা মানুষের তৈরি বস্তুগুলোর তুলনায় অনেক বড়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের সেপ্টম্বরে মহাকাশে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চীন কক্ষপথে ল্যাবটি স্থাপন করে। ২০২২ সাল নাগাদ মহাশূন্যে মহাকাশ স্টেশন তৈরীর লক্ষ্যে দেশটি এ কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৬ সালেই ১০ মিটার দীর্ঘ আট টন ওজনের এ ল্যাবের সাথে চীনের গবেষকদের সম্পূর্ণ যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটি পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছিল। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার নেতৃত্বে ১৩ টি মহাকাশ সংস্থা রাডারসহ নানা অপটিক্যাল যন্ত্রপাতি দিয়ে এটির গতিপথ পর্যবেক্ষণ করে আসছিল।

Pic: AP