ডেস্ক রিপোর্ট
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল, ২০১৮) সার্চ ইঞ্জিন গুগল, এমাজান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও-অডিও শেয়ারিং মাধ্যম ইউটিউবের (ডিজিটাল এডভার্টাইজমেন্ট) বিজ্ঞাপন থেকে অবিলম্বে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেয়। এছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায়ের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-তার কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছে আদালত।
অর্থ সচিব, আইন সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, বাংলদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জানান, ডিজিটাল এডভার্টাইজমেন্ট খাত থেকে অর্থ উপার্জনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অবিলম্বে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছে আদালত। রুল জারির পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই কমিটি ডিজিটাল এডভার্টাইজমেন্ট খাত থেকে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো কত টাকা নিয়েছে এবং নিচ্ছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিবে।
আগামী ২৫ জুন প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করবে। আগামী ২৮ জুন বিষয়টি আদালতে পরবর্তী আদেশের জন্য ধার্য থাকবে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গত ৯ এপ্রিল রিট দায়ের করেন হাইকোর্টের ছয়জন আইনজীবী। আদালতের আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি মোতাহার হোসেন সাজু।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তির যুগে গুগল, ফেসবুক এখন প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখতে আগ্রহী। দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ছে। বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এ সুযোগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এ দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট বিশ্বের নামিদামি প্রতিষ্ঠানসমূহ। কিন্তু সরকারকে এক টাকাও রাজস্ব দিচ্ছে না তারা। এ কারণে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।