ডেস্ক রিপোর্ট
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে দেশটির তদন্ত কমিশন প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে বিধ্বস্তের আগ মুহূর্তে পাইলট ও এটিসি’র (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) মধ্যকার কথোপকথনকে অস্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ না করে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল সরঞ্জাম বিচার বিশ্লেষণের জন্যে কানাডার ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমান ও টাওয়ার কন্ট্রোলের মধ্যকার যোগাযোগ স্থানীয় সময় ১৪:১৭:৫৮ পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু ১৪:১৮:৪৫ সময়ে উভয়পক্ষের খুবই সামান্য যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে তা অস্পষ্ট। এতে নিশ্চিত করা হয়েছে, বিমানবন্দরের আভ্যন্তরীণ সীমান্ত বেড়ার কিছুটা বাইরে রানওয়ে টু’র পূর্বাংশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে এবং অবতরণক্ষেত্র ইউএস বাংলার বিমান ডিএইচসি-৮ কিউ ৪০০ এর কার্যক্রমের জন্যে পর্যাপ্ত ছিল। এছাড়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বলে রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান এবং কমিশন আইসিএও’র ১৩ ধারার চ্যাপ্টার ৬, সেকশন ৬.৫ অনুযায়ী চুড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে। বিধ্বস্ত বিমান থেকে পাওয়া সকল ডকুমেন্ট বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সেসব চূড়ান্ত রিপোর্টে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। নেপালী কর্মকর্তা ছাড়াও তদন্ত কমিশন বিমান তৈরির কানাডীয় কোম্পানী বোম্বাবার্ডিয়ার অব কানাডা এবং ইঞ্জিন তৈরির ব্রিটিশ কোম্পানীকেও তদন্ত কাজে অন্তর্ভূক্ত করেছে। তদন্ত কমিশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হেড অব এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ (এএআইজি) এর ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন এম রহমতউল্লাহ।
উল্লেখ্য, ইউএস-বাংলা এয়ারক্রাফটের একটি বিমান গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ যাত্রী প্রাণ হারায়। নিহতদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক। দুর্ঘটনার পর পরই তদন্তের জন্যে নেপালী কর্তৃপক্ষ ‘এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন, ২০১৮’ নামে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে।