স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পহেলা বৈশাখ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ ।
সকালে পান্তা,আলু ভর্তা, ডাউল, কালোজিরা ভর্তা, কাঁচা মরিচ, দিয়ে অতিথি দের আপ্যায়ন করেছে শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে শাহজাদপুরের জনসাধারণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শাহজাদপুর সংসদীয় আসনের এমপি আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেহেলী লায়লা,সহকারী কমিশনার ভূমী হাসিব সরকার, পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নাছির উদ্দিন,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাজা গোলাম কিবরিয়া।
এরপর উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উল্লাপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও নানা পেশার মানুষ। পিছিয়ে ছিলনা শিশুরাও, তারা বৈশাখী সাজে বাবা মায়ের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
আনন্দ শোভাযাত্রা শাহজাদপুরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাইলট হাইস্কুল মাঠে এসে শেষ হয়। আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে হাইস্কুল মাঠে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে। সম্রাট আকবরই প্রথম বাংলা সন প্রবর্তন করেন। শুরুতে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা কৃষক, জমিদার ও ভূ–স্বামীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অবশ্য এ উপলক্ষে মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হতো। ধীরে ধীরে তা ব্যাপকতা পায়, নানা উৎসব–অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ হয়ে ওঠে সার্বজনীন ণ্ড শুভবোধ আর কল্যাণ চেতনার প্রতীক। সত্যিকার অর্থে বাংলা নববর্ষ একমাত্র ধর্ম নিরপেক্ষ উৎসব।
প্রথম দিকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একটি উপাদান হিসেবে বাংলা নববর্ষ পালিত হলেও পরে রাজনৈতিক আন্দোলন দিনটিতে নতুন মাত্রা যোগ করে। পাকিস্তান আমলে রবীন্দ্র সংগীত ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ শুরু হলে ছায়ানট পহেলা বৈশাখ রমনার বটমূলে রবীন্দ্র সংগীতের আয়োজন করে। আয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে এ ছিল প্রতিবাদ। সেই থেকে বাঙালির আত্ম পরিচয় ও আত্মোপলব্ধির ক্ষেত্রে বাংলা নববর্ষের যাত্রা শুরু।