এমএসএ
২০১৮ সালের সবথেকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছবি “অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার”। মার্ভেল ইউনিভার্সের ছবিটি মুক্তি পাবে আগামী ২৭ এপ্রিল। এই প্রথম দল অ্যাভেঞ্জারস ও দ্যা গার্ডিয়ানস অব দ্যা গ্যালাক্সি এক হয়ে টাইটান পুত্র থানোসের মোকাবেলা করবে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করতে জীবনের বাজি ধরবে একঝাঁক সাহসী, নির্ভীক যোদ্ধারা। ইনফিনিটি গন্টলেট থানোসের হাতে। ছ’টি স্টোন উদ্ধারে সে পৃথিবীতে অবতরণ করবে। স্পেস (নীল), মাইন্ড (হলুদ), রিয়েলিটি (লাল), পাওয়ার (পার্পল), টাইম (সবুজ) ও সৌল স্টোন (কমলা) দখল করতে সক্ষম হলেই বাস্তবতাকে দমিত করার শক্তি অর্জিত হবে থানোসের। সে হয়ে উঠবে সর্বজ্ঞ।
থানোসকে দলবেঁধে প্রতিরোধ করবে আজগার্ডিয়ান থর, ওয়াকান্ডার রাজা ব্লাক প্যান্থার, নোম্যাড রজারস, হাল্ক, আয়রন ম্যান, স্পাইডার-ম্যান, স্টার লর্ড, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, ব্লাক উইডো, স্কারলেট উইচ, হোয়াইট উল্ফ, গ্রুট, ভিজন, হক আই, অ্যান্ট-ম্যান, রকেট, ড্রাক্স, গামোরা, ফ্যাল্কন, ওয়ার মেশিনসহ অনেক সহযোদ্ধা। এই যুদ্ধের পরিণতি কি হবে?
২০১৫ সালে “অ্যাভেঞ্জারস: এজ অব আল্ট্রন” ছবিতে ম্যাগনিটো তনয় কুইক সিলভারের কুইক মৃত্যু কিছুটা হলেও দর্শকদের ঝাঁকি দিয়েছিল। ২০১৬ সালের “সিভিল ওয়ার” ছবিতে কিছুটা মৃত্যু আশংকা দেখা দিলেও, প্লট অ্যাভেঞ্জারসকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ২০০৮ এর আয়রন ম্যান থেকে এপর্যন্ত সুপারহিরোদের বড় কোন দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়নি। আর দর্শকরাও আশা করে অসুরের বধ হোক। তবে বহু সন্যাসীতে যে গাঁজন নষ্ট হয় তা রুশো ভ্রাতৃদ্বয় সাধারণ দর্শকদের থেকে ভালো জানবেন। “ইনফিনিটি ওয়ার” এর ট্রেইলারে স্ট্রেঞ্জ, ভিজনের ওপর পাশবিক অত্যাচার দিয়ে কিছুটা ফোরশ্যাডোইং করার চেষ্টা করা হয়েছে যে এবার অনেক মার্ভেল চরিত্রেরই রক্ষা নেই। এদিকে মার্ভেল স্টুডিওর প্রেসিডেন্ট কেভিন ফেইজ জানিয়েছেন, ইনফিনিটি ওয়ারে যেই মারা যাক, তাকে আর ফিরিয়ে আনা হবে না। আর এত জল্পনাকল্পনা করেও কোন লাভ হবে না। ছবি বলে দিবে আসল সত্যটা কি। তবে ক্যাপ্টেন আমেরিকা, আয়রন ম্যান, ভিজন এর মধ্য থেকে একজন যে বিদায় নিতে পারে তা মার্ভেল প্রেমীরা কিছুটা অনুমান করতে পারে।
এদিকে “অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার” এর বক্স অফিস নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ধারনা করা হচ্ছে ছবিটি সর্বকালের ওপেনিং রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে অথবা প্রথম সপ্তাহে ২০০ মিলিয়নের তালিকায় এন্ট্রি নিতে পারে। কমস্কোর সূত্রে বক্স অফিস ওপেনিং রেকর্ডের শীর্ষে রয়েছে ‘স্টার ওয়ারস: দ্যা ফোর্স এওয়েকেন্স’ ($২৪৭,৯৬৬,৬৭৫), দ্বিতীয় ‘স্টার ওয়ারস: দ্যা লাস্ট জেডাই’ ($২২০,০০৯,৫৮৪), ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড’ ($২০৮,৮০৬,২৭০), চতুর্থ “দ্যা অ্যাভেঞ্জারস” ($২০৭,৪৩৮,৭০৮)। এবছর তালিকায় ‘এজ অব আল্ট্রন’ কে টপলিয়ে ৫ম স্থান দখল করেছে মারভেলের আরেকটি ছবি ব্লাক প্যান্থার ($২০২,০০৩,৯৫১)।
আশা করা যায়, বরাবরের মত এবারো মারভেলের ‘অ্যাভেঞ্জারস: ইনফিনিটি ওয়ার’ দর্শকদের পরিতৃপ্ত করবে। মারভেল মানেই ভিন্ন কিছু, কিছুটা স্বতন্ত্র। অ্যাকশনধর্মী ছবিটি গ্রাফিক্স আর ইফেক্ট দিয়ে যেমন সবার মনোরঞ্জন করবে, তেমনি তার প্লট বা কাহিনী দিয়ে দর্শকদের করে তুলবে আবেগপ্রবণ। দেখবে দুনিয়া, কাঁদবে কমিকপ্রেমী দর্শক।