নড়াইলে বোরো বিআর-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ, কৃষকের মাথায় হাত

26
14

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল জেলার বিভিন্ন বিলে হঠাৎ করেই বোরো বিআর-২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ছত্রাকজনিত এ রোগ হবার ফলে ধানে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ফসল ওাার আগ মুহূর্তে এ রোগের আক্রমণে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। অনেক কৃষকের হাসি ফিকে হয়ে গেছে। এবার যারা বিআর-২৮ ধানের আবাদ করেছেন, তারাই মূলত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে কৃষি বিভাগ বলেছে, সামান্য কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিলেও তা নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে।

এলাকাবাসী ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার দক্ষিনাঞ্চল মির্জাপুর, খড়রিয়া, আফরা, শেখাটি, সদরের মুলিয়া, কালিয়া উপজেলার গাজীরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিআর-২৮ ধানে এ রোগ বেশী ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। গত এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে জেলার বিভিন্ন বিলে বোরো ধানের গাছ এ রোগের আক্রমন শুরু হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন ধানের আগা সাদা সাদা হয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক দিন পরেই এ ধান কৃষকের গোলায় ওঠান কথা ছিল। হটাৎ করে এই পোকার আক্রমনের পর কৃষক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাষক ওষুধ প্রয়োগ করলেও সবক্ষেত্রে ভালো ফল ফল পাচ্ছেন না।

সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান জানান, মির্জাপুর বিলের গড়ে ৫০ একর বিআর-২৮ ধানে এ রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক কৃষকের মুখে হাসি শেষ হয়ে গেছে।

সদরের খড়রিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে বিআর-২৮ ধান রোপন করেছিলেন। ব্লাস্ট রোগে প্রায় সব ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। একই গ্রামের কৃষক শরিফুল ও ইন্দাদুল ইসলাম জানান, তাদের প্রত্যেকের এক বিঘা জমির ধান এ রোগে নষ্ট হয়ে গেছে।

সদরের বাহিরডাঙ্গা গ্রামের দীপক সিংহ জানান, তার দুই একর জমিতে বিআর-২৮ ধান লাগিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু জায়গায় এ রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে ধান সাদা হয়ে চিটা হয়ে গেছে।

নড়াইল কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার ৪৬ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫ একর (প্রায় ১০ হেক্টর) জমির ধান এ রোগে নষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, সদরের মুলিয়া এলাকায় কয়েকটি জমিতে ব্লাস্ট রোগ হয়েছিল পওে তা দমন করা সম্ভব হয়েছে।

ছবি: প্রতীকী