নিউজ ডেস্ক
বুধবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নিজের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভাষা সংগ্রামী, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন)। শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১১টার দিকে রাখা হয় জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের মরদেহ। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাঁর বিদেহী আত্মার জন্য দোয়া করেন এবং তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে এবং দুই দফা জানাজার পর নূরউল ইসলামের মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে। জাতীয় অধ্যাপকের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
বগুড়ায় ১৯২৭ সালে ১ মে জন্মগ্রহণ করেন নূরউল ইসলাম। পাঁচ বছর বয়সে তার লেখাপড়ায় হাতেখড়ি হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের হাতে।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। এরপর তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির প্রাচ্যভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র সোয়াস থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়েছিল অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলামের হাতে। তিনি রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
মুস্তাফা নূরউল ইসলামের দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রতিবেদক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫১ সালে দৈনিক সংবাদে তিনি সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন।
‘সাহিত্যিক’ ও ‘সুন্দরম’ সাহিত্য পত্রিকার সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম।
মৃত্যুকালে মুস্তাফা নূরউল ইসলামের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গিয়েছেন। অধ্যাপক নূরউল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।