স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া থেকে প্রায় ৮ হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া চলন্তিকা যুব সোসাইটি নামের সেই এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে রোববার সকালে কালিয়া থানা পুলিশের একটি দল দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় খুলনার দৌলতপুর থানার আমতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। আকটকৃতকে ১০ দিনের রিমাণ্ড চেয়ে সোমবার সকালে নড়াইল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রফতারকৃত আসামী খুলনার শিপিইয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মৃত সোলাইমান সরদারের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্যামল কুমার ঘোষ নামের একজন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক সম্প্রতি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি গত ১৯ মে কালিয়া থানায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে কালিয়ার থানার ওসি তদন্ত ইকরাম হোসেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করেন। এ মামলায় নির্বাহী পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন ও চেয়ারম্যান খবিরুজ্জামানসহ সাতজন কর্মকর্তাকে আসামী করা হয়েছে। এর আগে গত ৯ এপ্রিল সাজ্জাদুর রহমান নামের অপর একজন গ্রাহক এনজিও’র চেয়ারম্যান মো. খবিরুজ্জামানসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি পুলিশের তদন্তাধীন।
প্রসঙ্গত, চলন্তিকা যুব সোসাইটি নামের খুলনা ভিত্তিক একটি এনজিও ২০০৪ সালে কালিয়া উপজেলায় কাজ শুরু করে। অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অঞ্চল ভিত্তিক মাঠকর্মী নিয়োগের মাধ্যমে ব্যাংকের আদলে ৬ বছরে দ্বিগুণ ও দশ বছরে তিনগুণ মুনাফা দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ২০০৯ সালে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষের কাছ থেকে মেয়াদী আমানত, মাসিক আমানত সংগ্রহ ও ঋণদান কর্মসূচীর কাজ শুরু করেন। অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করে গত বছরগুলোতে কালিয়ার ৮ হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ৩ এপ্রিল চলন্তিকা যুব সোসাইটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। চলন্তিকা যুব সোসাইটির চেয়ারম্যান খুলনার সোনাডাঙ্গার বাসিন্দা মৃত ইব্রাহিম হাওলাদারের পুত্র মোঃ খবিরুজ্জামানসহ অন্যান্য আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ওসি শেখ শমসের আলী দৈনিক ওশানকে বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত আসামীকে ১০ দিনের রিমাণ্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান আসামী খবিরুজ্জামানকে গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।