স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম এর হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সেজুতি রায় ঐশীকে (১৪) উদ্ধার করা হয়েছে। সে নড়াইল সদর উপজেলাধীন শোলপুর গ্রামের এ্যাড. মৃদুল কান্তি রায়ের কন্যা। মৃদুল কান্তি রায় নড়াইল জজকোর্টের একজন জেষ্ঠ্য আইনজীবী।
সোমবার (২৮ মে) নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেজুতি রায় ঐশীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে নড়াইলে নিয়ে আসে। নড়াইলে আনার পর নড়াইল জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতির হাতে সেজুতি রায় ঐশীকে তুলে দেন পুলিশ সুপার।
জানা গেছে, ঐশীর মা মারা যাওয়ার পর তার নিজের বাবার সাথে বসবাস করছিল ঐশী। কিন্তু তার পিতা তাকে দিনদিন শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। সামান্য বিষয়ে তাকে মারপিট করে। বয়ঃসন্ধিকালে পদার্পণ করা এই কিশোরী পিতার নির্যাতন সইতে না পেরে সকলের অগোচরে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং সেখানে অবস্থান করতে থাকে।
সূত্রে জানা যায়, এদিকে ঐশীর বাবা এ্যাড. মৃদুল কান্তি রায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সোমবার (২১ মে) নড়াইল সদর থানায় শোলপুর গ্রামের বাসিন্দা হরি শেখের ছেলে নয়ন শেখসহ আরো ৪-৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে তিনি আরও বলেন, নয়নসহ আরও ৪/৫ জন দুবৃত্তরা তার মেয়েকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছে।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নিজেই ঐশীর সন্ধানে মাঠে নেমে পড়েন। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থাবস্থায় ঐশীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম।
উদ্ধারের পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, ঐশী পিতার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার পিতা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য স্থানীয় নিরীহ যুবকদের নামে মামলা করে হয়রানি করেছে। মূলত ঐশী স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। তার পালানোর পেছনে অন্য কারো হাত নেই বলে ঐশী পুলিশকে জানিয়েছে।