স্টাফ রিপোর্টার
মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী। ১০বছর পূর্বে তার হত দরিদ্র বাবা মারা যায়। মা থেকেও নেই। বাবা মারা যাবার পর মা অন্যত্র বিয়ে করে সেখানে ঘর করছে। মেয়ের আর খোঁজ-খবর নেয় না। প্রতিবন্ধী এই মেয়ে কখনও বাবা-মায়ের আদর-যত্ন, স্নেহ-মায়া মমতা পায়নি। ছোট বেলা থেকেই অযত্ন-অবহেলায় বস্তিতে বেড়ে উঠেছে। প্রকৃতির নিয়মেই সে এখন কিশোরি। অভাগা এই মেয়েটির নাম চুমকি। বাবার বাড়ি সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের সীমাখালী গ্রামে। বর্তমানে শহরের দূর্গাপুর এলাকায় দুঃসম্পর্কের ভায়ের কাছে থাকে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে‘ হৃদয়ে নড়াইল’-এর কয়েক বন্ধু ‘কিশোরি এই মেয়েটিকে রক্ষা করুন’ এ ধরনের একটি পোষ্ট দেওয়ার পর কয়েকজন জন দরদি মানুষ তার চিকিৎসাসহ সার্বিক দেখাশোনার দায়িত্বে এগিয়ে এসেছেন।
হৃদয়ে নড়াইল-এর এডমিন এফ.এম আমিরুল ইসলাম লিটু জানান, মেয়েটির চিকিৎসা হবে ঢাকা মানসিক হাসপাতালে। তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ডি.এম.ডি মাহবুব ঢালী, নড়াইল-২ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী মোঃ হেমায়েত হোসেন হিমু, ৩জন আমেরকিা প্রবাসী এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন। সার্বিক দেখাশোনা এবং চিকিৎসার দায়িত্বে থাকবেন যমুনা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শামীম আহমেদ।
শুক্রবার (২২জুন) বেলা ১১টার দিকে নড়াইল চৌরাস্তা থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওনা হয়েছেন ব্যাংকার শামীম আহমেদসহ ১০ জনের একটি দল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম, নড়াইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মীর্জা নজরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, হৃদয়ে নড়াইল-এর এডমিন এফ.এম আমিরুল ইসলাম লিটু প্রমুখ।