কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

14
20

ডেস্ক রিপোর্ট

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বর্তমানে জীবিকা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে অভিহিত করা হয়। শিক্ষাবোর্ডের মতে, বিপুল জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই উৎপাদনমুখী ও জীবনভিত্তিক এ শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

নয় বছর আগেও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর হার যেখেনে মাত্র ১ শতাংশ ছিল, সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সে হার আজ ১৫ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। ২০২০ সালের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার্থীর হার ২০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আসার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষার জন্য মোট ৫০টি পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ছয়টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও একটি সার্ভে ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার জন্য রয়েছে ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এছাড়া বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিস্তারের জন্য রয়েছে ৩৮টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, ৪০টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল কলেজ, ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারে বাংলাদেশে ৪ হাজারের বেশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও আইসিটি শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের জন্য বিশ তলা ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার্থীদের সহায়ক জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে পাঁচটি প্রকল্প চালু হয়েছে। গতানুগতিকের পরিবর্তে দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষানীতিতে নেয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ। এ ছাড়াও শিক্ষানীতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করারও চিন্তা রয়েছে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের। বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় কারিগরি শিক্ষা খাতে দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বেসরকারি ৩০টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গ্রহণ করা হয়েছে ৫৩৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট।

কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারের ভূমিকা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখছে।