নিউজ ডেস্ক
গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ব্যাহত করতে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি কার্যালয়ে বসেই বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে অবরোধ-কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন। টানা ৩ মাসের অবরোধ ও দফায় দফায় হরতাল পালন করতে গিয়ে পেট্রোলবোমাসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। নির্বাচন বানচাল ও সরকার পতন আন্দোলনের নামে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠে। নির্বাচন ঠেকাতে তারা (বিএনপি-জামায়াত) ২০১৪ সালে মানুষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়েছে। ২০১৫ সালেও তারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে। আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করে তারা সম্পদ ধ্বংস করেছে। তারা জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিবগঞ্জ উপজেলার টিকরি গ্রামের ২৫ টি বাড়ি ও ৩০-৩৫ টি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষ দল আওয়ামী লীগ করে বা তাদের ভোট দেয়, এই অপরাধে বেছে বেছে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানো হয়। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতা পারিবারিক কবরে লুকিয়ে থেকেও রেহাই পাননি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নীলফামারীতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা করা হয়। সেখানে খুন হন পাঁচজন। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের ওপরও চলানোর হয় হামলা। তাদের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গণপরিবহণে বোমা, গান পাউডার ও আগুন-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে মারা গেছেন প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি।
জনগণের উপর বিএনপির আস্থা আছে বলেও মনে হয় না। দলটি জামায়াতের তোষামোদ করতে করতে নিজেরাই জনবিচ্ছিন্ন একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত গত পাঁচ বছরে বিরোধী দল হিসেবে সাধারণ মানুষ ও দেশের স্বার্থে একদিনের জন্যও কি আন্দোলন করেছে? দলটি গত পাঁচ বছরের প্রথম তিন বছর আন্দোলন করেছে শুধু খালেদা জিয়ার পরিবারের স্বার্থজনিত ইস্যুতে। আর গত দুই বছর আন্দোলন করছে তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য, যা মূলত তাদের ক্ষমতায় যাবার আন্দোলন। এমন বিরোধী দলের ‘নিজ স্বার্থের’ জন্য সাধারণ মানুষ কেন ভুক্তভোগী হবে?