স্টাফ রিপোর্টার
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল আদালতে দায়েরকৃত মানহানি মামলার জামিন শুনানী শেষে আগামী ১৭ জুলাই চুড়ান্ত আদেশের দিন ধার্য করেছে আদালত। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ শুনানী শেষে বিকালে এ আদেশ দেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ ইকবাল হোসেন শিকদারসহ ঢাকা, খুলনা, যশোর ও নড়াইলের বিএনপির প্রায় ২০-২৫ জন আইনজীবি জামিন শুনানীতে অংশ নেন। এ সময় খুলনা মহনগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বিএনপির একাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষুদ্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদি হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি হলেও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে ২৬ জুন আবার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আজ সোমবার ২ জুলাই জামিন আবেদনের শুনানীর দিন ধার্য করেন।