নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের শরিক এবং কোন অতিথি পাখিকে মনোনয়ন না দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত অবধি চলা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় প্রথমে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোধগার করলেও পরে দলীয় অন্তর্কোন্দল ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা এবং তৃনমুল পর্যায়ের যোগ্য প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়নদানের দাবি করেছেন। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বর্ধিত সভার এ সিদ্ধান্ত রেজুলেশন করে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন।
নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সভপতিত্বে সভায় বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল-১ আসনের আ’লীগ দলীয় এমপি কবিরুল হক মুক্তি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জিন্নাহ, এমদাদুল হক, আসিফুর রহমান বাপ্পি, যুগ্ম-সম্পাদক বাবুল কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ^াস প্রমূখ।
নড়াইল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু দাবি করেন, নড়াইলের দুটি আসনে নির্বাচন এলেই অতিথি পাখিদের আগমন ঘটে। কিন্তু নির্বাচন চলে গেলে এবং দলের দুর্দিনে কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না। এসব অতিথি পাখিদের কারনে দলের বিভাজন সৃষ্টি হয়ে অর্ন্তকোলহ বেড়ে যায়।
লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগত। তাই আমাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের মাধ্যমে এখন থেকেই জোরালোভাবে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
নড়াইল-১ আসনের এমপি মোঃ কবিরুল হক মুক্তি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আওয়ামী লীগের মধ্যে যাদের মনোনয়ন দিবেন আমরা তাদের পক্ষে কাজ করবো। তিনি কোন অতিথি পাখিকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য নেত্রীর কাছে দাবি জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু বলেন, নড়াইলের দুটি আসনই আওয়ামী লীগের উর্বর ভূমি। আমাদের ভূল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দলের অবস্থানগত কারনে এ দুটি আসনে কোন শরীক দলের কাউকে মনোনয়ন না দেয়ার আহবান জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, নড়াইল-২ আসনে গত সংসদ নির্বাচনে শরীক দলকে মনোনয়ন দেওয়ায় দল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর এমপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কোন মুল্যায়ণ;এমনটি কোন যোগাযোগ রাখেনি। সরকারের ভাবমূতি রক্ষায় এবং দলের অবস্থান শক্ত রাখতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।