শাহজাদপুরে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ভুয়া ডিবি পুলিশ অটক

3
10

স্টাফ রিপোর্টার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবিউল করিম ঠান্ডু (৫২) নামের এক আদম ব্যবসায়ীকে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে ডিবি পরিচয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসি সড়কে বেড়িকেট দিয়ে মাইক্রোবাসসহ ৫ ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক করে গণধোলাই দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মাইক্রোবাসটিও ভাংচুর করে।

খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬ ভুয়া ডিবি পুলিশকে আটক ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের খাজা নাজিম উদ্দিনের ছেলে আদম ব্যবসায়ী রবিউল করিম ঠান্ডু জানান, তিনি এ সময় বেলতৈল ইউনিয়নের মুলকান্দি বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে আমি চা খাচ্ছিলাম। এ সময় একজন অপরিচিত লোক আমার কাছে এসে বলে আপনাকে স্যার ডাকে। আমি যেতে না চাইলে আরো কয়েকজন লোক আমার কাছে এগিয়ে এসে বলে আমরা ডিবির লোক আপনার সাথে কথা আছে। ওই দিকে চলেন। এই বলেই জোর করে তারা আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় একটি সাদা রঙের মাইকোবাসের কাছে।

এরপর ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে দড়জা আটকিয়ে দিয়েই গাড়ি চালাতে শুরু করে। আমি বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করি। তারপর ওই বাজার থেকে আমার বাড়িতে ফোন করে খবর দিলে এলাকাবাসি শ্রীফলতলা বাজারে অবস্থান নিয়ে ভ্যানরিক্সা দিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে আমাকে উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, মাইক্রোতে ড্রাইভারসহ মোট ৭ জন লোক ছিল। একজন পালিয়ে যায়। বাকি ড্রাইভারসহ ৬ জনকে এলাকাবাসি আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মাইক্রোবাটিও ভাংচুর করে।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তেও মধ্যে শত শত উৎসুক জনতা সেখানে ভীড় করে। এ সময় ভীড় সামল দিতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার এসআই সামিউল জানান,পাওনা টাকার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাকিবুল হুদা বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে এর সঠিক কারণ পরে জানানো হবে।

আটককৃতরা হলেন, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩৭), ঝিনাইদহের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল আলীম, রায়গঞ্জ উপজেলার চন্ডিদাসগাতি গ্রামের রইচ উদ্দিনের ছেলে কবির হোসেন (৩২), পাঙ্গাসী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩৫), মনোহারা পাঙ্গাসী গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মানিক শেখ (৪০) ও উল্লাপাড়া উপজেলার স্টেশন এলাকার মোটরসাইকেল মেকার আব্দুল খালেক জোয়ারদারের ছেলে সুমন (৩৫)। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম নোমান বলে জানা গেছে।