নিউজ ডেস্ক
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) পালিত হলো গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৬৩ সালের এইদিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের বিকাশসহ ও এদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়।’
বুধবার সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ হাইকোর্ট সংলগ্ন মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ।
উল্লেখ্য, বিখ্যাত বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী (জন্ম: সেপ্টেম্বর ৮, ১৮৯২ – মৃত্যু: ডিসেম্বর ৫ ১৯৬৩) ছিলেন যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূলনেতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই সুধী সমাজ কর্তৃক ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত হন।