নিজস্ব প্রতিবেদক
সচারচর পলাশ ফুল এখন চোখে পড়ে না। প্রায় বিলুপ্তের পথে পলাশ ফুল গাছ। আগে নড়াইলে প্রচুর পলাশ ফুল গাছ চোখে পড়ত। বিশেষ করে রূপগঞ্জ মুচিপোল হতে ভিক্টোরিয়া কলেজের পথে নড়াইলের জমিদারদের লাগান জমিদার বাড়ী যাওয়ার পথে প্রচুর পলাশ ফুলের গাছ ছিল। কিন্তু কালের বির্বতনে সে রাস্তায় আর কোন পলাশ ফুল গাছ চোখে পড়েনা। বিলুপ্তের সাক্ষর হিসাবে নড়াইল শহরে এখনও একটি গাছ দাড়িয়ে আছে জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনে আদালত সড়কে। চিত্রা সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে দিয়ে যে সড়ক আদালত পাড়ায় গিয়ে মিশেছে সে সড়কের প্রথমেই পলাশ ফুলের গাছটি এখনও কালের সাক্ষী হিসাবে এক পায়ে দাড়িয়ে আছে। আগামী প্রজন্মের কাছে হয়তবা পলাশ/কিংসুক/পাঙ গোঙ ফুলের গাছ ইতিহাস হিসাবে থাকবে।
নজরুল ইসলাম বাবুর লেখা, শিল্পী রুনা লায়লার কণ্ঠে জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক “আমায় গেঁথে দাওনা মাগো” গানটিতে পলাশ ফুলের উল্লেখ আছে। ভাইকে হারিয়ে শোকার্ত বোন মাকে একটা পলাশ ফুলের মালা গেঁথে দিতে বলে। নিজ হাতে ভাই এর সমাধিতে মালা অর্পণ করবে বোন। বাংলা সাহিত্যেও পলাশ ফুলের উল্লেখ রয়েছে। কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি গানে পলাশ ফুলের ছবি উঠে আসে-
“ হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল
এনে দে এনে দে নইলে
বাঁধব না, বাঁধব না চুল…