নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিদ্যুৎ খাতে এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে আবু ধাবির সেন্ট রেগিজ হোটেলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সুলতান আল মনসুরির নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৫ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের পর তাঁর উপস্থিতিতে এই স্মারকগুলো সাক্ষরিত হয়।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে, এটার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ ও ইউএইর মধ্যে ব্যবসার একটা নতুন দ্বার উন্মোচিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে- দুবাই সরকারের সাথে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) চুক্তি। নৌ পরিবহন সচিব এম আব্দুস সামাদ ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম এ চুক্তি সাক্ষর করেন।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হল পোর্ট ও শিল্প পার্ক। ডিপি ওয়ার্ল্ড এর ভাষ্য মত্র তারা যেখানে পোর্ট তৈরি করে তারা সেখানে পোর্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না, শিল্প পার্কও তৈরি করে তিনি জানান।
দ্বিতীয় সমঝোতা হয়েছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির গ্রুপ সিইও সাইফ আল ফালাসি এ চুক্তি সাক্ষর করেন।
শহীদুল হক বলেন, এটার লক্ষ্য হল- বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি (লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস) সরবরাহ। পায়রাতে ভূমিভিত্তিক এলএনজি রিসিভং সেন্টার করা। পায়রাতে তারা ৩০০ একর জমি চেয়েছেন, যেখানে এটা করবেন।
তৃতীয় সমঝোতা স্মারক সই করেন আমিরাতের রাজপরিবারের সদস্য ও বিনিয়োগকারী শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুম এবং পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ। এই চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াটের এলএনজি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং ১০০ মেগাওয়াটের আরেকটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।
চতুর্থ চুক্তি হয়েছে মাতারবাড়িতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে। এটা সাক্ষর করেন শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান।