নিউজ ডেস্ক
বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২১ জন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক ২০১৯ এ ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই পদক বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়ঃ
ভাষা আন্দোলনে একুশে পদক ২০১৯ পেয়েছেন মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুন (মরণোত্তর), এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলাম।
শিল্পকলায় সংগীত বিভাগে তিনজন একুশে পদক পেয়েছেন। তারা হলেন সুবীর নন্দী, মরহুম আজম খান (মরণোত্তর) ও খায়রুল আনাম শাকিল।
শিল্পকলায় অভিনয় বিভাগে তিনজন একুশে পদক পেয়েছেন লাকী ইনাম, সুবর্ণা মুস্তাফা ও লিয়াকত আলী লাকী।
শিল্পকলায় আলোকচিত্র বিভাগে সাইদা খানম ও চারুকলা বিভাগে একুশে পদক পেয়েছেন জামাল উদ্দিন আহমেদ।
মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য, গবেষণায় ডক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ড. মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় ডক্টর প্রণব কুমার বড়ুয়া।
ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক পেয়েছেন ছয়জনঃ রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আয়োয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ী মরহুম অধ্যাপক হালিমা খাতুনের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম প্রজ্ঞা লাবনী এবং পপ সম্রাট আজম খানের পক্ষে তাঁর কন্যা বেগম ইভা খান পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মুস্তফা কামাল স্বাগত বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এবং পদক বিজয়ীদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিচারপতিগণ, পদস্থ সামরিক ও বেসাসরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, পূর্বের একুশে পদক বিজয়ী ব্যাক্তিবর্গ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। এ পর্যন্ত ৪৫৭ জন সুধী এবং ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়েছে।