স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নড়াইল পুলিশ লাইনের কয়েক যুগ ধরে পরিত্যাক্ত জমিতে সদ্য খননকৃত গভীর নলকুপের পানি দ্বারা এক বিঘা (২০ কাটা) জমিতে ধানের চারা রোপন করা হয়। এতে পুলিশ সুপার নড়াইল মহোদয় এবং পুলিশ লাইনের প্রায় সকল সদস্য, স্কুল ছাত্র-ছাত্রী সহ অনেকে অংশগ্রহণ করেন।
ইতোপুর্বে পুলিশ সুপার মহোদয়ের উদ্যোগে প্রায় ০৩ (তিন) বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ সহ শীত কালীন নানারকম সবজি যেমন টমেটো, বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পেয়াজ, মরিচ চাষ করা হয়। পুলিশ লাইন্স এবং পুলিশ অফিস নড়াইল এর সীমানার ৪টি পুকুরে নানা প্রজাতির মাছের চাষ করা হয়। সবজি ও মাছ চাষে কোন প্রকার কীটনাষক এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। পুলিশ লাইন্স এর বিভিন্ন প্রকার গাছের ঝরা পাতা, গোবর এবং অন্যান্য উপায়ে প্রস্তুতকৃত জৈব সার ব্যবহার করা হয়। উৎপাদিত সকল সবজি এবং মাছ পুলিশ লাইন্স মেসে খাওয়ানো হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ প্রায় ১ বছর যাবত পুলিশ লাইন্স মেসে কম দামে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
লাঙ্গল-গরু ব্যবহার করে হাল চাষ করণ পদ্ধতি হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, যারা এদেশের উচ্চপদে আসীন আছেন, তাদের বেশির ভাগই এভাবে নিজ নিজ কাজের মাধ্যমে উঠে এসেছে। হাল চাষ, মাছ চাষ সহ সকল পেশার কাজ নিজ হাতে করা লজ্জার নহে বরং গৌরবের।
নতুন প্রজন্মকে বঙ্গালীর ঐতিহ্য তথা নিজ হাতে হাল চাষ, মাছ চাষ সহ নিজ নিজ কাজের প্রতি আগ্রহী করে গড়ে তোলাই হলো নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) মহোদয়ের আজকের প্রয়াস।
নড়াইল জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনে কোন অনাবাদি খালি জায়গা পড়ে থাকবে না এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ২২শে ফেব্রুয়ারি নড়াইল পুলিশ লাইনে নিজ উদ্যোগে সমস্ত ফোর্স দের সঙ্গে নিয়ে খালি জায়গাগুলোতে ধানের চাষ শুরু করে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরফুদ্দিন আহাম্মেদ (সদর সার্কেল নড়াইল) আর আই পুলিশ লাইন সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্য। পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের দেশর উন্নয়ন করতে হলে আমাদের দেশের খালি জায়গাগুলো ফেলে রাখা যাবে না খালি জায়গায় অবশ্যই চাষ করতে হবে। তাহলে আমাদের দেশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।