স্টাফ রিপোর্টার
বখাটে শিক্ষক ও তার তিন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম শিশু রাবেয়া ও তার দাদী জাহানারা এবং প্রতিবেশী শিশু হেনার অবস্থা আশংকাজনক। আহত হেনার নানা ফিরোজ মোল্যা জানান, রাবেয়ার ডান পায়ের গোড়ালি থেকে পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলতে হতে পারে। আর হেনার গলা দিয়ে এখনও কম বেশী রক্ত ঝরছে, তার অস্ত্রোপচার জরুরি। তিনি জানান, রাবেয়া ও তার দাদী জাহানারা বেগম (৫০) ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে এবং হেনা ঢাকা হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের বাজার সিঙ্গিয়া গ্রামের সাইদ বিশ্বাসের পুত্র, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র রফিকুল ইসলাম মিঠু একই গ্রামের রতন বিশ্বাসের কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী রাবেয়াকে প্রাইভেট পড়াতো। সম্প্রতি মিঠু রাবেয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে শিশুটি তাতে সাড়া না দিয়ে বাবা-মাকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠু, তার বড় ভাই উজ্জল শেখ (৪২) মেঝো ভাই সাজ্জাদ শেখ ও ইরানসহ ৭/৮ জন গত শুক্রবার (১৫মার্চ) সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাবেয়াকে অপহরণ করতে তাদের বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় বাঁধা দিতে গেলে রাবেয়া ও তার দাদী জাহানারা এবং পাশের বাড়ির মনিরুল ইসলামের ৮ বছরের শিশু কন্যা হেনার ওপর বখাটেরা ছুড়ি চালায়। এ সময় বখাটেদের উপর্যুপুরি ছুরির আঘাতে রাবেয়া ও তার দাদীর হাত ও পায়ের রগ কেটে যায় এবং হেনা গলায় ও বুকে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই চার ভাই ও অজ্ঞাত ৪জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে উজ্জলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালছে।