স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত (নৌকা) ও বিদ্রোহী প্রার্থী তথা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে। নড়াইল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
রোববার বেলা (২৪ মার্চ) ১২টার দিকে নওয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ ও বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হারুনার রশিদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
আহতরা হলেন আনারস প্রতীকের সমর্থক-রাসেল (২২),রাশেদুল (২৫),আব্বাস (২৫), রাইসুল (২৮),আলফু শেখ (৬৫),আনোয়ার (৪৫),মুস্তাইন (৪৭),হাসান শেখ (২২) এবং নৌকা প্রতীকের সমর্থক টিপু মন্ডল (৫০),সাগর শেখ (৩০),বাদশা শেখ (৫০),মনির শেখ (৩১),বাধন মোল্যা (২৫),হাফিজুর ফকির (৩২),রকিব মীর (৩১), ইসমাইল শেখ (১৯),খাইরুল মোল্যা (৪৮),আলম মোল্যা (৩৮),হান্নান গাজী (৪০) ও বিল্লাল গাজী (২৫) প্রমূখ।
নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, ‘জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ নয় রাউন্ড ফাকা গুলি চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিছু সময় বন্ধ থাকার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।’
নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, ‘এলাকাটি গোলযোগপূর্ণ হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষে বাধে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’ এছাড়া কালিয়া শহীদ আঃ সালাম ডিগ্রি কলেজ,কালিয়া পাইলট স্কুল এবং এফ.ধাড়িয়াঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোটসহ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।