নিউজ ডেস্ক
গত ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কতিপয় ছাত্রী। ঘটনায় নুসরাতের শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। দগ্ধ নুসরাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সিঙ্গাপুরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি দগ্ধ শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দেখতে যান। সেখানে তিনি বলেন, নুসরাতকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নুসরাতের চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে। যারা এই অপরাধ করেছে তাদের বিচার হবে জানান তিনি।
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনার তিন দিন পর তার ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় চার বোরখা পরিহিত নারীসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে সোমবার মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে নুসরাতের বড় ভাই তাকে মাদ্রাসায় পৌছায় দেন। পরীক্ষা শুরুর আগে নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাত শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে মামলা করায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে নুসরাত ও তার পরিবার অভিযোগ করেন।