জন্মদিনের কথা মনে না থাকায় শিক্ষিকার আত্মহত্যা

0
29

স্টাফ রিপোর্টার

জন্মদিনের কথা মনে না থাকায় বাবা-মা’র সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করলেন প্রিয়াঙ্কা সাহা (২৫) নামে এক শিক্ষিকা। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকা ও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশলা রোডের বলরাম সাহার মেয়ে। মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছ লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই ঘুরকা মহাশ্মসান ঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

এ ব্যাপারে নিহত প্রিয়াঙ্কা সাহার বাবা বলরাম সাহা ও মা বন্দনা সাহা জানান, ২২ এপ্রিল সোমবার ছিলো প্রিয়াঙ্কার জন্মদিন। ওইদিন বিকেলে সে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে তার বান্ধবীদের সাথে মোবাইলে জন্মদিন নিয়ে কথা বলছিলো। এসময় তারা মেয়ের কাছে নিশ্চিৎ হন ওইদিন প্রিয়াঙ্কার জন্মদিন। এসময় প্রিয়াঙ্কা আমাদের উদ্দেশ্য করে বলে, তোমরা আমার বাবা-মা, আর তোমরাই আমার জন্মদিনের কথা ভুলে গেলে! তবে এ মন্তব্য করার পরও সে সবার সাথে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলছিলো। রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রিয়াঙ্কা নিজের শোবার ঘরের পাশে অন্য একটি ঘরে শুতে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর মা বন্দনা সাহা প্রিয়াঙ্কাকে রাতের খাবার খেতে ডাকাডাকি করেন। এসময় প্রিয়াঙ্কার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি ছোট মেয়ে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী অন্তরা সাহাকে বিষয়টি জানান। পরে অন্তরা তার বোন প্রিয়াঙ্কাকে মোবাইল করলেও তা রিসিভ করেনি। সকাল সোয়া আটটার দিকে নাস্তা করার জন্য পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। এসময় ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো প্রিয়াঙ্কার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে রাতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।