স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতি নদীর ভাঙন দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রতিরোধে কাজ হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। ৪১০ মিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ কাজ করায় মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে রক্ষা পাচ্ছে ঘাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্লুইচগেটসহ অন্তত ১০০ বাড়িঘর ও ৫০০ শতাধিক গাছপালা। এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার দাবি ভূক্তভোগীদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে লোহাগড়ার ভাঙন কবলিত ঘাঘা গ্রামে ৪১০ মিটার এলাকায় স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ চলছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রতিরক্ষা কাজ শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্যে জিও ব্যাগ ও ব্লক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। আরো জিও ব্যাগ ও ব্লক দেয়া হবে। আগামি বছর মে মাসে এ কাজ শেষ হবে।
পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আখি মনি, ৪র্থ শ্রেণীর সাথি খানম, আজমির ও রেহান জানায়, ‘আমরা সবসময়ই ভাবি কখন জানি ঘাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীতে টেনে নিয়ে যায়। আমাদের পড়া লেখার খুব ক্ষতি হচ্ছে।’ পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহানেওয়াজ তালুকদার বাধ নির্মাণে সময়ক্ষেপনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে বলেন, ‘ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিছুদিন দেরীতে কাজ শুরু করেছে। তারা স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী জিও ব্যাগ ব্যবহার না করায় তাদের কয়েক হাজার ব্যাগ বাতিল করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের চিঠি ও দেয়া হয়েছে। ঠিকমতো কাজ না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’