স্টাফ রিপোর্টার
দেশীয় প্রজাতির মাছের নিরাপদ আবাস্থল ও প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নড়াইলের চিত্রা নদীতে এক একর জুড়ে মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। জেলা মৎস্য অফিসের আয়োজনে বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বুধবার (৮ মে) দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের মিরাপাড়া এলাকায় অভয়াশ্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাছের অভায়শ্রমের গরুত্ব তুলে ধরে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা হোসনে আরা হ্যাপী, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক প্রমুখ। এসময় জনপ্রতিনিধি, এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ‘প্রবাদ আছে যে ‘‘ মাছে ভাতে বাঙ্গালী’’। এক সময়ে আমাদের নদী ও খালবিলে দেশীয় প্রজাতির স্বরপুটি, পুটি, কই, টেংরা, শোল, টাকি, মাগুর, চিতল সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যেতো। কিন্তু ডিমওয়ালা মাছ নিধন, কীটনাশকের ব্যবহার, পানির প্রবাহ কমে যাওয়া সহ নানা কারনে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে অভয়াশ্রম নির্মাণের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিরাপদে থাকতে পারবে এবং নিরাপদে ডিম ছাড়তে পারবে। এভাবে বিভিন্ন এলাকায় অভয়াশ্রম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান জানান, বৃহত্তর যশোর জেলার মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নড়াইল জেলা মৎস্য বিভাগের বাস্তবায়নে এক একর এলাকা নিয়ে মৎস্য অভায়াশ্রমটি তৈরি করা হয়েছে। অভায়াশ্রমে মাছ যাতে নিরাপদে থাকে সে জন্য বাঁশ,বাশের কঞ্চি, বিভিন্ন গাছের ডালা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যাতে সেখান থেকে মাছ না ধরে সে জন্য এলাকাবাসীর মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। আশা করি অভয়াশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিরাপদে থাকতে পারবে এবং নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারবে।