স্টাফ রিপোর্টার
এবার চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৯জন শিক্ষার্থী এসএসসি পাশ করলেও অন লাইনে ভর্তির আবেদনের সুযোগ পায়নি। কারণ তাদের নামের পাশে এখনও অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ড অভ্যন্তরীণ অন লাইনে তাদের ফলাফল প্রকাশ করলেও টেলিটক সিমের মাধ্যমে অন লাইনে তাদের ফলাফল প্রকাশ না করায় শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পায়নি। এতে ওই স্কুলের অভিভাবকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এবং ওই স্কুলের পাশ করা শিক্ষার্থীরা হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন আমরা ভর্তি হতে পাবতো?
চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়,নিয়মানুযায়ী এসএসসি পরীক্ষায় স্কুলের ৭১জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল যথা সময়ে তৈরি করে নড়াইল সরকারি উ”চ বিদ্যালয় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। কেন্দ্র তাদের নিজ দায়িত্বে এ ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে পাঠাবে। কিন্ত এসএসসির ফলাফলে দেখা যায় তাদের মধ্যে মাত্র তিনজনের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ হয়েছে। বাকি ৬৮জনের যোগ হয়নি। ফলাফলে তাদের অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র এবং নড়াইল সরকারি উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্র সচিব মহিতোষ কুমার দে ৭মে আইসিটি ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র নিয়ে যশোর বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে যান। বোর্ড বিষয়টি দেখে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ করায় ৬৮জনের মধ্যে ৫৯জন পাশ দেখানো হলেও তারা কোনো কলেজে ভর্তির দরখাস্ত করার সুযোগ পাচ্ছেনা। এ স্কুলে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৭৭জন। এর মধ্যে নিয়মিত ৭১ এবং অনিয়মিত ছিল ৬জন।
এ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া পিয়া খানম, খাদিজা আক্তার, আরাফাত হোসেন এবং বিজয় কুমার পাল বলেছেন, অন লাইনে ভর্তির আবেদন করলে রোল নম্বরের পাশে অকৃতকার্য দেখানো হ”েছ। তারা হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ভালো ফলাফল করে এখনও ভর্তির সুযোগ পেলাম না। আমরা কলেজে ভর্তি হতে পারবো তো?
এক অভিভাবক আইউব হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রত্যেক স্কুলের পাশ করা শিক্ষার্থীরা অন লাইনে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারলেও চালিতাতলা সম্মিলনী স্কুলের ছেলে-মেয়েরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে তারা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিবের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রুব কুমার ভদ্র গতকাল বৃহস্পতিবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, প্রথম ধাপের শেষ দিন ২৩ মে পর্যন্ত এ স্কুল থেকে পাশ করা ৫৯জন শিক্ষার্থী অন লাইনে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব ও নড়াইল সরকারি উ”চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিতোষ কুমার দে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র এবং বুয়েট কর্তৃপক্ষের সাথে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানিয়েছেন, যশোর বোর্ড থেকে রেজাল্ট সংশোধনের জন্য বুয়েটে পাঠানো হয়েছে। এখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখভাল করবেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছেন, রেজাল্ট সংশোধন করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
জানা গেছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন ১৯ ও ২০জুন এবং তৃতীয় ধাপের আবেদনের তারিখ ২৪জুন। আগামি ১জুলাই থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।