নিউজ ডেস্ক
ভারতের নির্বাচনে বিশাল জয় পাওয়ার পর হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ভারতকে একটি সার্বজনীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এদিকে বিশ্বের গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনে বিশাল জয় পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী মোদির প্রশংসা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে তামিলনাড়ুর একটি বাদে সবকটি আসনে এবার নির্বাচন হয়েছে। সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা জোটকে পেতে হবে ২৭২টি আসন। গতবার বিজেপি ২৮২ আসনে জয়লাভ করেছিল। আর তাদের জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৩৬টি আসন। আবারও ভারতের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিজেপি একাই ৩০৩টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। মোদি তার ডানপন্থী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপনের মধ্যে ঘোষণা দেন, ‘আমরা একসাথে বেড়ে উঠছি, আমরা একসাথে উন্নতিসাধন করছি। আমরা একসাথে একটি শক্তিশালী ও সার্বজনীন রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে গড়ে তুলবো। ভারত আবারো জিতেছে!’
৬৮ বছর বয়সী এ নেতা বিজেপির সদরদপ্তরে আসলে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এ সময় তিনি বিজয়সূচক ‘ভি’ চিহৃ দেখান। তখন সেখানে হাজার হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ‘বড়’ বিজয়ে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। টুইটার বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ফের ক্ষমতায় আসায় যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারিত্বের জন্য অনেক ভাল হয়েছে।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয় জানায়, এমন কি চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার আগেই বিশ্বের অন্যান্য নেতার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মোরিসন এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মোদিকে টেলিফোন করেন। এদিকে নির্বাচনে মোদি বিশাল জয় পাওয়ায় এই প্রথমবারের মতো ভারতের শেয়ারবাজার সেনসেক্স প্রধান সূচক ৪০ হাজার পয়েন্ট লেবেল অতিক্রম করেছে।
লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা টেলিফোনকে নয়াদিল্লী প্রতিবেশী দু’টি দেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্কের প্রতিফলন বলে বর্ণনা করেছে। গতকাল সন্ধ্যায় এখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম যে’কজন বিদেশী নেতা অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাদের মধ্যে অন্যতম, এতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক সম্পর্ক এবং দুই নেতার মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক থাকার বিষয় প্রতিফলিত হয়েছে।’ সূত্রঃ বাসস