ডেস্ক/এমএসএ
প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মমতাজউদদীনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (২ জুন) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নাটক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মমতাজউদদীনের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যুতে শিক্ষা ও নাট্য জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’ শেখ হাসিনা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একুশে পদক বিজয়ী নাট্যকার মমতাজউদদীন আজ বিকেলে এ্যাপোলো হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।
মমতাজউদদীন ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলার হাবিবপুর থানার আইহো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশ বিভাগের পর তার পরিবার পূর্ববঙ্গে চলে আসে। তার পিতার নাম কলিমুদ্দিন আহমদ ও মাতার নাম সখিনা বেগম। মমতাজউদদীন আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও ভাষাসৈনিক। তিনি স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত যিনি এক অঙ্কের নাটক লেখায় বিশেষ পারদর্শিতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ১৯৯৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
মমতাজউদ্দীন আহমদের উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে “বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত”, “বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত”, “প্রসঙ্গ বাংলাদেশ”, “প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু” প্রভৃতি। এছাড়া নাটকও রচনা করেছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে “নাট্যত্রয়ী”, “হৃদয় ঘটিত ব্যাপার স্যাপার”, “স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা (১৯৭১)”, “কি চাহ শঙ্খ চিল (১৯৮৫)”, “প্রেম বিবাহ সুটকেশ”, “জমিদার দর্পণ”, “রাজা অনুস্বরের পালাে” ইত্যাদি। তাঁর রচিত গদ্যরচনার মধ্যে রয়েছে “চার্লি চ্যাপেলিন-ভাঁড় নয় ভব ঘুরে নয়”, “আমার ভিতরে আমি”, “জগতের যত মহাকাব্য”, “হৃদয় ছু আছে”, “লাল সালু ও সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ”, “মহানামা কাব্যের গদ্যরূপ”, “সাহসী অথচ সাহস্য” প্রভৃতি।