স্টাফ রিপোর্টার
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ও নড়াইলের কালিয়া হামিদপুর ইউনিয়নের গাজীরহাট বাজারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৯জুন) রাতে উপজেলার সীমান্তবর্তী গাজিরহাট বাজারে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও আহতরা জানান, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহম্মাদ ও তৎকালিন ওই ইউপির চেয়ারম্যান নাহিদ হোসেন মোল্যার মধ্যে দীর্ঘ দিনের আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চলাকালে ২০১৬ সালের ২৫ আগষ্ট ভোরে আততায়ীর গুলিতে নাহিদ হোসেন মোল্যা দিঘলিয়া উপজেলার গাজিহাট গ্রামের নিজ বাড়িতে খুন হন।ওই হত্যার ঘটনায় গোলাম মহম্মাদসহ তার সমর্থকদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ও বর্তমান ওই ইউপির চেয়ারম্যান পলি বেগম। তখন থেকেই নিহত নাহিদ মোল্যা গ্রুপের হাল ধরেন তার চাচা পার্শ¦বর্তী দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সীমান্ত সংলগ্ন ওই উপজেলার বাগমারা গ্রামের আজিজুর রহমান ঠান্ডু মোল্যা। পরে নাহিদ হত্যা মামলার আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে গত ঈদের সময় এলাকায় ফিরলে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেখা দেয় চাপা উত্তেজনা। তারই জের ধরে ঘটনারদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে গাজিরহাট বাজারের চৌরাস্তায় দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত অবস্থায় দু’টি গ্রুপ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৫জন আহত হয়। তারা হলেন, দিঘলিয়া উপজেলার বাগমারা গ্রামের সাইফুল মোল্যা (২৮), কালিয়া উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের রুবেল শেখ (৩৫), সিলিমপুর গ্রামের আজিজুর শেখ (৪০), মচনন্দপুর গ্রামের ইফতেখার মোল্যা (২৫), সোহান শেখ (২৪), জনি মোল্যা (২৫), রামানন্দপুর গ্রামের টিংকু ভূইয়া (৩০), মিজাই শেখ (৩৫)মিজানুর রহমান শেখ ( ৪০) ও শাহীন শেখসহ (২৫) ১৫জন। গুরুতর আহতরা খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
কালিয়া থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাতেই ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ।