স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা রেঞ্জের মধ্যে ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তিতে প্রথম স্থান অর্জন করায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) পুরস্কৃত হয়েছেন। শনিবার (১৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তাকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার) নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ (বিপিএম) রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারবৃন্দ। মে মাসে ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা নিষ্পত্তিতে খুলনা রেঞ্জের ১০টি জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নড়াইল জেলা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা, দক্ষতা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য প্রশংনীয় হয়েছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে দুইবার ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’ (পিপিএম) অর্জন করেছেন তিনি।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, এ সম্মাননা আমাকে আরো দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের ভালো কাজের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন নড়াইলের অন্তত ১৫৩টি এলাকায় গ্রাম্য বিরোধ নিরসন করে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি জেলা পুলিশ লাইন্সের ২০ শতক পতিত জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেন তিনি। এছাড়া তিন বিঘা জমিতে পেঁপে, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পেঁয়াজ ও মরিচসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি লাগিয়েছেন। বিভিন্ন প্রজাতির ৫০০ আম গাছও রয়েছে এখানে। এ বছর গাছগুলোতে থোঁকায় থোঁকায় আম ঝুলছে।
এদিকে পুলিশ লাইন্স পুকুর, ট্রাফিক অফিস পুকুর ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুকুরে গত বর্ষা মওসুমে রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৩ হাজার মাছের পোনা অবমুক্ত করেন তিনি। এসব মাছ পুলিশ লাইন্স মেসের পুলিশ সদস্যরা বিনামূল্যে খেয়ে থাকেন। এতে খাবার খরচ কম হচ্ছে মেসে খাওয়া পুলিশের সদস্যদের। এছাড়া পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে ৩০ বছরের নর্দমা পরিষ্কার করে ‘পুলিশ মৎস্য অ্যাকুরিয়াম’ প্রতিষ্ঠা করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এখানে দেশি প্রজাতির বিলের মাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। এর চারিদিকে পেঁপেসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। শোভা পাচ্ছে হরেক রকম ফুলও।
