এমএসএ
ইংল্যান্ড-ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ বিশ্বকাপের ২৩তম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের দলনেতা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩২১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ জয়ের জন্য ৩২২ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। টনটনের দ্য কুপার অ্যাসোসিয়েটস কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ বলে ৯৬ রান করেন শাই হোপ। এছাড়া এভিন লুইস ৬৭ বলে ৭০, শিমরোন হেটমায়ার ২৬ বলে ৫০ ও অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ১৫ বলে ৩৩ রান করেন। বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন-মুস্তাফিজুর রহমান ৩টি করে ও সাকিব আল হাসান ২টি উইকেট নেন।
জয়ের লক্ষ্যে দারুন শুরু করে টাইগাররা। দলীয় ৫২ রানে সৌম্য সরকার আউট হলে ৬৯ রানের জুটি বাঁধেন ওপেনার তামিম ও সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। ২ ছক্কা ও ২ চারে সৌম ২৯ রানে রাসেলের শিকার হন। ১৭.৩ ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজের ৪৮ রানে রান আউট হন তামিম। ১৯ ওভারে দলীয় ১৩৩ রানে আউট হন মুশফিক। তখন ক্রিজে ভরসা হয়ে দাঁড়ায় সাকিব। লিটনকে সাথে নিয়ে এগোতে থাকে জয়ের দিকে। নিজেদের ১৮৯* রানের জুটিতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় বাংলাদেশ। কোন দেশের বিপক্ষে এটাই টাইগারদের সেরা চেজ। ১৬ চারে ৯৯ বলে অপরাজিত ১২৪* রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাকিব। ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৬৯ বলে ৯৪* রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন লিটন। পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে ৪ ম্যাচে ৩৮৪ রান নিয়ে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছেন সাকিব। একই সাথে ৬০০০ রানের ঘরে নিজের নাম লেখান সাকিব। এদিকে এই জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ম স্থানে অবস্থান করছে দেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ডঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ৩২১/৮- গেইল ০ (১৩), লিউইস ৭০ (৬৭), হোপ ৯৬ (১২১), পুরান ৩০ (২৫), হেটমায়ার ৫০ (২৬), রাসেল ০ (২), হোল্ডার ৩৩ (১৫), ব্রাভো ১৯ (১৫), থমাস ৬* (১১); বাংলাদেশ- মাশরাফী ৮-১-৩৭-০, সাইফুদ্দিন ১০-১-৭২-৩, মুস্তাফিজুর ৯-০-৫৯-৩, মিরাজ ৯-০-৫৭-০, মোসাদ্দেক ৬-০-৩৬-০, সাকিব ৮-০-৫৪-২।
বাংলাদেশ: ৪১.৩ ওভারে ৩২২/৩- তামিম ৪৮ (৫৩), সৌম্য ২৯ (২৩), সাকিব ১২৪* (৯৯), মুশফিক ১ (৫), লিটন ৯৪* (৬৯); ইন্ডিজ- কটরেল ১০-০-৬৫-০, হোল্ডার ৯-০-৬২-০, রাসেল ৬-০-৪-১, গাব্রিয়েল ৮.৩-০-৭৮-০, থমাস ৬-০-৫২-১, গেইল ২-০-২২-০। ম্যাচ সেরা- সাকিব আল হাসান৷ ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।