এমএসএ
দ্বাদশ বিশ্বকাপে লিগ পর্বে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। ইতোমধ্যে ৬টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাকী ৩ ম্যাচে জিততে হবে। বাকী তিন ম্যাচ আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরমধ্যে আজ (২৪ জুন) সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামবে টাইগাররা। আফগানিস্তান বলে ম্যাচটিকে কোনভাবেই ছোট করে দেখবার সুযোগ নেই টাইগারদের।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি আফগান ক্রিকেট দল। তবে শেষ ম্যাচে ভারতকে মাত্র ২২৪ রানে আটকে দিয়েছিল জয়হীন থাকা নাইবের দল। ইতোমধ্যে এক সাক্ষাৎকারে নাইব বলেছেন, “বিশ্বকাপে প্রথম চারটা ম্যাচে আমরা খুবই বাজে খেলেছি। কিন্তু গত দুই ম্যাচে কীভাবে লড়াই করেছি, সবাই জানে। প্রতিদিনই আমরা উন্নতি করছি। আগামীকাল আমরা সেরা ক্রিকেটটাই খেলব, ইনশাআল্লাহ”।
২০১৪ সাল থেকে আফগানদের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলে আসছে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচেই ২২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এপর্যন্ত আফগানদের বিপক্ষে ৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ যার মধ্যে ৪টিতে জিতেছে টাইগাররা, বাকী ৩টি জিতেছে আফগানিস্তান। ২০১৬-২০১৭ সেশনে আফগানিস্তান বাংলাদেশ সফরে আসলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় লাভ করে বাংলাদেশ। তবে টি২০ ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত ৪টি ম্যাচের ৩টিতেই হেরেছে দেশ। গত বছর ২০১৮ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে আফগানদের বিপক্ষে হেরেছিল টাইগাররা। তবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কতটা অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রোটিয়া ও ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে বিশ্বকাপ ২০১৯ এ টাইগাররা যথেষ্ট প্রমাণ করেছে। অন্যান্য দলের সাথেও লড়াই করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর টাইগারদের। ২০১৬ সালে ঢাকায় ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান তুলেছিল অধিনায়ক মাশরাফীর দল। সেদিন ১৪১ রানে হেরেছিল আফগানরা। দু’দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহর। আফগানদের বিপক্ষে ৬ ম্যাচে ২টি অর্ধশতক তুলে ২৪৩ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এরপরই তামিমের নাম মাত্র ৪ ম্যাচ খেলে ১টি সেঞ্চুরি ও ১টি অর্ধশতক নিয়ে তাঁর রান ২৩৭। উইকেট সংগ্রহের দিক থেকেও এগিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৬ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। রেকর্ড