ক্রিকেট/এমএসএ
ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ বিশ্বকাপে আবারো সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যান তালিকার শীর্ষ স্থান পুনুরূদ্ধার করলেন সাকিব আল হাসান। সোমবার সাউদাম্পটনের রোজ বোলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক ছিলেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ম্যাচটিতে ৬৯ বলে ৫১ রান করে আউট হন সাকিব। এ ইনিংসের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারকে পেছনে ফেলে আবারো শীর্ষে উঠেন তিনি। একই ম্যাচে ৫ উইকেটেও তুলে নেন সাকিব।
৬ ম্যাচের ৬ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৭৬ রান করেছেন সাকিব। ব্যাটিং গড়- ৯৫ দশমিক ২০। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৪৮টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ৭৫, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৪ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১ রান করেছিলেন সাকিব।
৬ ম্যাচের ৬ ইনিংসে ব্যাট করে ৪৪৭ রান নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার। ২টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪২৪ রান নিয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট।
এদিকে আফগানদের বিপক্ষে নিজের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স (১০-১-২৯-৫) দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ৫ উইকেট তুলে নেন সাকিব। এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সেরা বোলিং ফিগার এটি। একই সাথে সর্বমোট ১০ উইকেট তুলে নিয়ে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর তালিকায় অষ্টম স্থানে অবস্থান করছেন এই সেরা অলরাউন্ডার। আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিবের আগে কোন ক্রিকেটারই বিশ্বকাপে একই সাথে ৪০০+ রান ও ১০ উইকেট অর্জন করেননি। আফগানদের বিপক্ষে নিজের ৪৫তম অর্ধশতক ও ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়েছেন এই খ্যাতিমান অলরাউন্ডার। এর আগে বিশ্বকাপে একই ম্যাচে ফিফটি ও ৫ উইকেট ছিল শুধু যুবরাজ সিংয়ের। একই সাথে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে পেরিয়েছেন হাজার রান। একটি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি ও ৫ উইকেট নেয়া তৃতীয় ক্রিকেটার সাকিব।
শ্রীলংকার সনথ জয়াসুরিয়া খেলেছেন পাঁচটি (১৯৯২-২০০৭) বিশ্বকাপে ৩৮ ম্যাচ। ১১৬৫ রানে পাশাপাশি পেয়েছেন ২৭ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ তিনটি বিশ্বকাপে (১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৯) মোট ৩৩ ম্যাচ খেলে ৯৭৮ রানের সঙ্গে ২৭ উইকেট পেয়েছিলেন। এখন তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছেন সাকিব। বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো অলরাউন্ডার হিসেবে ১ হাজার রান আর ৩৩ উইকেট ডাবল পাওয়ার পর সবার উপরে দাঁড়িয়ে আছেন সাকিব (২০০৭-২০১৯)।