নড়াইলের কালিয়ায় ধান সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

0
141

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রহস্যজনক কারণে প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করছেন সংশ্লিষ্টরা। অপরদিকে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে না পারায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। খাদ্য গুদামের প্রধান গেট অফিস চলাকালীন সময় বন্ধ করে রাখার কোন বিধান না থাকলেও যথারীতি গেট বন্ধ থাকছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এদিকে কোন খেয়াল নেই।

সংশ্লিষ্ট দফতর সুত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলায় ৪৩৩ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হবে। তার মধ্যে ২৪৫ মেট্রিক টন ধান ইতিমধ্যে ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার নড়াগাতী থানার বড়দিয়া খাদ্য গুদামে ৯০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৮৮৮ মেট্রিক টন বোরো ধান ক্রয় করার জন্য পূণরায় আরেকটি চিঠি এসেছে। শনিবার সকাল ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে কালিয়া খাদ্য গুদামের প্রধান গেট বন্ধ পাওয়া গেছে। গত একসপ্তাহ খাদ্য গুদামের প্রধান গেট বন্ধ থাকার পর রোববার ওই গেটটি দুপুর দুইটায় কিছু সময়ের জন্য খোলা পাওয়া গেছে। তবে খাদ্য গুদামের ভিতরে কৃষকের কোন ধান দেখা যায়নি। খাদ্য পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তার কথা ও কাজের মধ্যে কোন মিল খুজে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কৃষকরা জানান, আর্থিক লাভবান হয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রভাবশালী ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ধান ক্রয় করছেন। অথচ অনেক প্রকৃত কৃষকদের নিকট থেকে ধান নেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে তারা ফেরত গিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কালিয়ার সচেতন মহল যথাযত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

কালিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শক বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ধান সংগ্রহে কোন অনিয়ম হয়নি। বিধি মোতাবেক ধান ক্রয় করা হচ্ছে’। খাদ্য গুদামের প্রধান গেট সারাদিন কেন বন্ধ করে রাখেন? এমন প্রশ্নের সন্তোষজনক কোন উত্তর দিতে তিনি পারেননি।

এপ্রসঙ্গে নড়াইল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মনোতোষ কুমার মজুমদার রোববার দুপুরে বলেন, ‘কৃষকের বাইরে কারোর নিকট থেকে ধান ক্রয় করার কোন সুযোগ নেই। অফিস চলাকালীন সময় কালিয়া খাদ্য গুদামের প্রধান গেট কেন বন্ধ করে রাখেন, এটা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাদ্য পরিদর্শকের নিকট জানা হবে। ধান সংগ্রহে কোন অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে’। কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান সংগ্রহ কমিটির সভাপতি মো.নাজমুল হুদার সঙ্গে মুঠোফোনে বাববার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।