ডেস্ক/এসস/এমএসএ
বুধবার বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে স্ত্রীর সামনেই প্রকাশ্য দিবালোকে নয়ন বন্ড ও তার দলবল রিফাত শরীফেরকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় ধারণ করা হত্যার ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলেই এই হত্যার বিচার চায়।
কিন্তু এতকিছুর পরেও আটক করা সম্ভব হয়নি হত্যাকারী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফারায়েজীকে। তবে মৃত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে ঘিরে আলোচনা রয়েছে তুঙ্গে। একবার মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের মিথ্যা বিয়ের প্রমাণ আরেকবার মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের কয়েকটি ছবি নিয়ে তোলপাড় করছে মানুষ। যেখানে স্বচক্ষে দেখা হত্যাকাণ্ডের হত্যাকারীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তি দেয়াকে আলোচনায় রাখা উচিত ছিল সেখানে চলছে সদ্য স্বামী হারানো মিন্নির চরিত্রে আঙুল তোলার প্রতিযোগিতা।
এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে মিন্নির সঙ্গে নয়ন বন্ডের বিয়ে পড়ানো কাজী আনিসুর রহমানের স্বাক্ষাতকার। যেখানে কাজী বর্ননা করেন কিভাবে কোন অভিভাবকের উপস্থিতি ছাড়াই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে মিন্নি ও নয়ন বন্ডের বিয়ে হয়। আর সেই স্বাক্ষের ভিত্তিতে একের পর এক গণমাধ্যমের কর্মকর্তা পৌঁছে যান মিন্নির বাবার বাড়িতে সত্য সন্ধানের স্বার্থে। কিন্তু আড়াই বছর ভালোবাসা সম্পর্কের পর বিয়ে করা স্বামীকে হারানোর বেদনার মধ্যেই নিজের চরিত্র নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে কতটা ক্লান্ত বিধবা মিন্নি, তার খবর রাখছেনা কেউ।
তবে এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬জনকে আটক করা হলো। যার মধ্যে তিনজন রিমান্ডে রয়েছে। আটককৃতরা হল এজহারভুক্ত আসামী চন্দন সরকার, মোঃ হাসান, মোঃ নাজমুল হাসান, তানভীর, মোঃ সাগর, কামরুল হাসান সাইমুন। যদিও মামলার আসল আসামী নয়ন বন্ড ও রিফাত ফারাজি এখনো পলাতক। হত্যা মামলার আসামী চন্দন ও হাসান ৭ দিন এবং নাজমুল ৩ দিনের রিমান্ডে আছে। বরগুনায় রিফাত মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। ঢাকায় দুপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান। তবে এর আগে জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।