নড়াইলে ঘুষ ছাড়া যেভাবে পুলিশের চাকরি পেলেন দরিদ্র সাকিব, পৃথাসহ ২০ জন

0
92

স্টাফ রিপোর্টার

সাবিনা ইয়াসমিনের স্বামী তিন বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর ভ্যানে করে বাড়িতে বাড়িতে সবজি বিক্রি করে সংসারের হাল ধরেন। বড় সন্তান সাকিব এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অন্য দুই ভাইবোন কলেজ ও স্কুলে লেখাপড়া করে। এবার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে সাকিবুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। ভূমিহীন সাকিবের পরিবার বসবাস করেন নড়াইল শহরের বরাশুলায় সরকারী খাস জমিতে ঝুপড়ি ঘরে।

সাকিবের মতো হতদরিদ্র পৃথা বিশ্বাস ও সুপ্তিকন্যা বিশ্বাসও মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছে। পৃথার বাবা প্রদিপ বিশ্বাস একজন দিনমজুর। তার সামান্য ৫শতক জমি রয়েছে। প্রদিপ বিশ্বাসের উপার্জনে চলে পাঁচ সদস্যের সংসার। তার বাড়ি সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের রুনদিয়া গ্রামে। নড়াইল পৌরসভার বেতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সুপ্তির বাবা সমির বিশ্বাস নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারে রুটি বিক্রি করে সংসার চালান। সাকিব, পৃথা ও সুপ্তিদের পরিবারেই বইছে এখন খুশির বন্যা।

সোমবার (৮জুলাই) সন্ধ্যায় নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম। এ সময় চাকরি পাওয়া সবাই পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। পুলিশ সুপার বলেন, বাছাইপর্বে টিকে থাকা ৬২৪ জনের মধ্যে ২০ জন সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নড়াইল জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি পেয়েছে। এর মধ্যে ৬জন মেয়ে ও ১৪ জন ছেলে। ২০ জনের মধ্যে পুলিশ পোষ্য কোটায় ১, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩ ও সাধারণ ভাবে ১৬ জন।

চাকরি পাওয়া সাকিব, সুপ্তি ও পৃথা বলেন, সবাই বলতো টাকা না হলে চাকরি হবে না। ভাবতে পারিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের পুলিশে চাকরি হবে। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে না হলে তাদেও চাকরি হতো না। ব্যাংক ড্রাফটের ১০০ ও আবেদন ফরমের তিন টাকা ছাড়া কোনো টাকা লাগেনি তাদের। তারা পুলিশ সুপার মহোদয়ের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।