স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া সরকারী আদর্শ কলেজে বাংলা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য তাঁদের দাপ্তরিক কোনো রসিদ দেয়া হচ্ছে না। পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সময়ই পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলেও পুনরায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে।
কলেজ-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া সরকারী আদর্শ কলেজের বাংলা বিভাগের চলতি শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষ (সম্মান) শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা—শেষ হয়েছে। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা ২০ জুন থেকে শুরু হয়ে ৯ জুলাই শেষ হয়েছে। ওই সময় বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, মৌখিক পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৭৫ টাকা এবং অনিয়মিতদের নিকট থেকে ১০০টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রচলিত নিয়মকে উপেক্ষা করে বাংলা বিভাগের প্রভাষক পিযুষ কান্তি রায়ের নির্দেশে ওই কলেজের একজন অফিস সহকারী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করেছেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নামের পাশে স্বাক্ষর রেখে প্রবেশপত্র জমা নিয়েছেন।
এদিকে, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজের প্রভাষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, ওই প্রভাষকের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় খোদ অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক ইরাদত হোসেনের সঙ্গে প্রভাষক পিযুষ কান্তি রায়ের বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রভাষক পিযুষ কান্তি রায়ের বেপরোয়া আচরণে বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়েন অধ্যক্ষসহ উপস্থিত প্রভাষকরা।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মহব্বত আলী বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রভাষককে নির্ধারিত টাকা নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি তা অমান্য করে পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন। এ বিষয়ে আগামী শিক্ষক কাউন্সিলের সভায় ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অভিযুক্ত প্রভাষক পিযুষ কান্তি রায় তার বিরুদ্ধে আনীত অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘বহিঃ পরীক্ষকদের আপ্যায়ন, যাতায়াত ও সম্মানী হিসেবে এ অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তা ফেরৎ দেয়া হবে।’