নিউজ ডেস্ক
দুর্নীতি রোধে সরকার সকল সেবা ডিজিটাল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। ১ হাজার ৫শ’ সরকারী সেবার ৩শ’টি ইতোমধ্যে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। বাকি সকল সেবাকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চলছে। সরকারের সকল সেবা ডিজিটাল হতে থাকায় ক্রমান্বয়ে দুর্নীতিও কমে আসছে। সরকারের সকল সেবা ডিজিটাল করা হলে দুর্নীতির কোন সুযোগ থাকবে না। আর দ্রুত সময়ে দেশকে ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম বাংলাদেশ ছাড়া খুব কম দেশই পেরেছে। আমরা এখন ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান করছি। এখন যেহেতু ক্রিটিক্যাল কিছু সিস্টেম হয়ে গেছে। এটার ওপর ভিত্তি করে অন্যান্য সার্ভিস ডিজিটালাইজড করা সহজ হয়ে গেছে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই তথ্য জানিয়েছেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা ডিজিটাল সেক্টরে এখন যেটা ফেস করছি তা হলো বাইরের অনেক কোম্পানি আসতে চায়। বিনিয়োগ করতে চায়। তবে আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ধারণা রয়ে গেছে, বিদেশী কোম্পানি এসে খালি প্রফিট নিয়ে চলে যায়। ভেবে দেখুন, আজকে যদি বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে না আসত থ্রিজি, ফোরজি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। আজকে তারা কিন্তু দেশে এসে শুধু প্রফিট নিয়ে চলে যায়নি। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। কত মানুষের লাভ হয়েছে, তারা ট্যাক্স দিচ্ছে। আজকের যুগ বিশ্বায়নের। নিজেদের আলাদা করে রাখতে পারি না। অর্থনীতি আরও ওপেন করতে হবে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় যে কোন কোম্পানি বিনিয়োগ করতে পারে। আমাদের সেদিকে যেতে হবে।
বিনিয়োগ বাড়াতে মানসিকতার পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, প্রয়োজন হলো আমাদের নিজেদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করা। তরুণ প্রজন্ম এবং সিনিয়রদের মধ্যে একটা জেনারেশন গ্যাপ থাকে। এটা বাস্তব। আমি একটু অনুরোধ করব, আমরা এখন আধুনিক পদ্ধতিতে নিজেদের চিন্তাধারা, ভয় ছেড়ে আরও অন্যান্য যেসব দেশ এগিয়ে গেছে যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া তাদের কাছ থেকে উদহারণ নিয়ে নিজেদের নিয়ম-আইন-নীতিমালা একটু দ্রুত পরিবর্তন করব।
তিনি বলেন, দশ বছর আগে আমাদের দেশে শুধুমাত্র টুজি ছিল। দশ বছরে আমরা শুধু থ্রিজি নয়, ফোরজিতে চলে এসেছি। আর আমাদের এখন পরিকল্পনা আছে যে সারাবিশ্বে যখন ফাইভজি আসবে তার সঙ্গে সঙ্গে এগোনোর। বাংলাদেশে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ নীতিমালা পরিবর্তনের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের আইসিটি অবকাঠামো যেটা করেছি-যেমন হাইটেক পার্ক, ডেটা সেন্টার। এগুলো আপনারা দেখেছেন। আরেকটা হলো আমাদের টেলিকমিউনিকেশন। আমাদের ডেটা নেটওয়ার্কটাই আইসিটির রাস্তা। আপনারা যেমন নির্বাচনী এলাকায় রাস্তার কাজ করেন। সেই টেলিকমিউনিকেশনের রাস্তার কাজ আমরা করছি।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সোপানে নিয়ে যেতে দেশের পুরনো আইন-কানুনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করলে তারাই বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে। সে লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মের জন্য যথাযথ শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন জয়।