স্টাফ রিপোর্টার
৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌর এলাকায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ কাজ শেষ হলেও ইচ্ছাকৃতভাবে চালু না করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অভিযান চালিয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলার সহকারি পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবালের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দুদক যশোরের পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামন, সহকারি পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম, কনস্টাবল মো: মহসিন হাসান, নড়াইল জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তা মো. মাহফুজ ইকবাল জানান, আমরা নড়াইল পৌর মেয়র মো: জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন বিষয়টি পাবলিক হেলথের। পাবলিক হেল্থ এখনও এটি হস্তান্তর করেনি। ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ চালু না হওয়ার কারনসমূহ দুদক খতিয়ে দেখবে বলে দুদক পরিচালক জানান।
এদিকে নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া জানান, ‘৬৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল পৌর এলাকায় প্রতি ঘন্টায় ৩৫০ কিউবিক লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ কাজের দুইটি ধাপ। একটি ৮ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮২ হাজার ৯৮৬ টাকা ব্যয়ে ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ অন্যটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার ২০৪ টাকা ব্যয়ে ‘উৎপাদন নলকুপ স্থাপন’। ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ’ কাজ আরো দেড়/দুই বছর আগে সম্পূন্ন হয়েছে। কিন্তু ‘উৎপাদন নলকুপ স্থাপন’ সম্পূন্ন ও সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ না হওয়ায় নড়াইল পৌরসভার নিকট হস্তান্তর যায়নি। আমরা আশা করছি এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে হস্তান্তরসহ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ সুপেয় পানি উৎপাদন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি চালু করা যাবে।