নিউজ ডেস্ক
সারাদেশের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হচ্ছে। বন্যায় যাদের ঘর-বাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেবে সরকার। জানা গেছে, মোট ২৪ হাজার নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। ঘরগুলো হবে দুর্যোগ সহনীয়। প্রত্যেকটি ঘরের পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ টাকা। কারা কারা ঘর পাবেন সে বিষয়টি নির্ধারণ করবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এছাড়া এ কর্মসূচি কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবকে আট বিভাগের মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ত্রাণ) মো. আকরাম হোসেন বলেন, যারা বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারাই নতুন ঘর পাবেন। এ বছর মোট ২৪ হাজার ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ৩ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, গত বছরও আমরা ১১ হাজার ৬০৪টি নতুন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। তখন প্রত্যেকটি ঘরের পেছনে খরচ করা হয়েছিল ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে এবার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিভিন্ন জেলার দুর্গত মানুষদের মাঝে চাল, শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পশুর জন্য বিতরণ করা হচ্ছে গো-খাদ্য।
এদিকে, দেশের যেসব এলাকায় জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্যার পানি উঠেছিল, সেখানকার অনেক জায়গায় পানি ধীরে-ধীরে নামতে শুরু করেছে। পানি নামতে শুরু করায় পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া পানিতে থাকতে-থাকতে অনেকেরই চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মো. আকরাম হোসেন বলেন, বিশুদ্ধ পানি বিতরণের জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি। এ জন্য অর্থও দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে। কোথাও বিশুদ্ধ পানি সংকট থাকার কথা নয়।
পানিবাহিত রোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর সাধারণত পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। তবে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এ অতিরিক্ত সচিব।