স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্র তিতাসের মৃত্যুর শোক কাটতে না কাটতেই তারই বাড়ীর পাশে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আকাশ মোল্যা (১০) নামে এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্কুলে যাওয়ার পথে কালিয়া বাজারের পুরনো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভাঙ্গার সময় সানসেটের একটি অংশ ধসে পড়ে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালের দিকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশুটি কালিয়া পৌরসভার বড়কালিয়া গ্রামের হোসাইন মোল্যার ছেলে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হুদা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আকাশের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সরকারের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের অন্যসব উপজেলার ন্যায় কালিয়া মডেল জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য স্থানীয়রা ও উপজেলা প্রশাসন কালিয়া বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জায়গাটি নির্ধারণ করেন। মডেল মসজিদটি নির্মাণের জন্য নড়াইল গণপূর্ত বিভাগ যথারীতি টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। যার কারণে বাজার জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ মসজিদের পুরাতন ভবনটি নিলামে বিক্রি করেন। নিলাম খরিদকারি পুরাতন মসজিদটি গত কয়েক দিন ধরে ভেঙ্গে নিতে শুরু করেন। প্রিতিদিনের মত ওইদিনও সকাল ৯ টার দিকে শিশু আকাশ মোল্যা বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন উত্তরে পায়ে চলা সরু পথ দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। ওই সময় পূর্বে ভেঙ্গে থাকা জানালার একটি সানসেট ধসে পড়লে তার নিচে সে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়ার ইউএনও মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘নিহত স্কুল ছাত্রের পরিবাররটি গরীব ও আসহায়। তাদের অসহায়ত্ত্বের কথা বিবেচনা করে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে এক লাখ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ কালিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন,‘কেউ অভিযোগ করেননি। লাশেরও ময়না তদন্ত করা হয়নি। ’