স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু চুরির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। উপজেলার রাজাপুর (বড়নাল) গ্রামের রমিদ মিনের দেড় বছরের শিশু হামিদাকে অজ্ঞান করার জন্য ইনজেকজেন দেয়ার প্রস্তুতিকালে তাড়া খেয়ে পালিয়ে গেছে দুবৃত্তরা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এঘটনা ঘটে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে কালিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এ আতংকে বেশ কয়েকজন রোগী ডাক্তারের অজান্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছেড়ে চলে গেছে বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় দুবৃত্তরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ভবনের ভিতরের বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে অন্ধকার করে ফেলে। উপজেলার রাজাপুর (বড়নাল) গ্রামের রমিদ মিনের দেড় বছরের শিশু হামিদার গলার ফোড়ার চিকিৎসার জন্য কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯জুলাই মহিলা ওয়ার্ডে (৬নম্বর বেডে) ভর্তি হয়। শিশুর সঙ্গে তার মা রুনা বেগম একই বেডে বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমিয়ে ছিল। দুবৃত্তরা শিশুকে অজ্ঞান করার জন্য ইনজেকজেন দেয়ার প্রস্তুতিকালে তার মাতা তাদের দেখে ফেলে। তখন সে চিৎকার দিলে রোগী, রোগীর পরিবার ও হাসপাতালের লোকজন ছুটে আসলে দুবৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি রোগীরা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিশু হামিদার মা রুনা বেগম বলেন, ‘এঘটনা সত্য। ঘটনার পর রাতের বাকী সময় একটুও ঘুম হয়নি। ভয়ে শুক্রবার সকালে হাসপাতাল ছেড়ে আমার শাশুড়ী সাফিয়া বেগমের সঙ্গে বাড়ী চলে এসেটি।’
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মুন্তাজ মজিদ বলেন, ‘আমি কিছু শুনি নাই।আপনারা স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।’ কালিয়া থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলাম বলেন,‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বা থানায় মৌখিক বা লিখিতভাবে কোন অভিযোগ করেননি।’