স্টাফ রিপোর্টার
বিনা চিকিৎসায় ফেরীতে মৃত্যু রবণকারি সেই স্কুল ছাত্র তিতাসের মা সোনামনি ঘোষ একমাত্র পুত্র শোকে কাতর হয়ে আহার ও নিদ্রা ত্যাগ করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোববার রাতে তাকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বেডে শুয়ে তিনি তার পুত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী ভিআইপির বিচার দাবি করেন।
তিতাসের বোন তনিষা ঘোষ জানান, তিতাস মারা যাওয়ার পর থেকে তার মা আহার নিদ্রা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। একদিকে পুত্র শোক অন্য দিকে খাবার না খাওয়া এবং রাতে-দিনে না ঘুমানোর কারণে গত কয়েক দিন যাবৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোববার বিকাল থেকে তার শরীরের রক্তচাপ কমে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই রাতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শরীফ সাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তার মানষিক দুশ্চিন্তা ও আহার নিদ্রার অভাবে রক্তচাপ উঠানামা করছে। তবে তিনি এখন পূর্বের চেয়ে একটু ভালো আছেন। আশা করছি আস্তে আস্তে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই তিতাস একটি সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হলে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরদিন ২৫ জুলাই ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ৮টায় কাঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরীঘাটে পৌঁছায়।তখন তারা জানতে পারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের একজন ভিআইপির অপেক্ষায় ফেরী চলাচল বন্ধ রয়েছে।তিতাসের বোন তনিষা ঘোষ তার ভাইয়ের আশংকাজনক অবস্থার কথা জানিয়ে সেখানকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীসহ বিভিন্ন মহলে ধরণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি। রাত ১১টার দিকে ওই ভিআইপির গাড়িটি আসার পর ফেরীটি ছেড়ে দেয়। কিন্তু ফেরী পার হতে না হতেই তিতাস বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তিনটি তদন্ত টিম এ বিষয় তদন্ত করছেন।