স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় দুই সন্তাননের জননী গৃহবধূ জ্যোসনা বেগম (৩০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোববার রাত সোয়া ১২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। হ”ত্যা না আত্মহ”ত্যা এ নিয়ে চলছে নানা রকম জল্পনা কল্পনা। এ মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূ জ্যোসনার স্বামী ও জ্যোসনার পরিবার একে অপরকে দোষারোপ করছে। পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার পার বাঐশোনা গ্রামের নজির মোল্যার ছেলে রহমান মোল্যা রুহুর সহিত ১৫বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেনজির হোসেনের বড় মেয়ে জ্যোসনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পাবিবারিক কলহ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ৯টার দিকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কোন এক ফাঁকে জ্যোসনা ঘরে থাকা কীট”নাষক পান করে বলে স্বামীর বক্তব্যনুযায়ী জানা যায়। অপরদিকে জ্যোসনার আপন ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম ও তার মাতা জামিলা বেগম বলছেন ভিন্ন কথা; তার দুলাভাই ও জামিলা বেগমের জামাই রহমান মোল্যা রুহু ও তার পরিবারের সদস্যরা জ্যোসনাকে শারীরিক নির্যাতন, শ্বাসরোধ ও জোর করে বিষপান করায়। পরে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৮ আগস্ট) রাত সোয়া ১২টায় সে মারা যায়।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডা.ফারজানা ইসলাম বারিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে বিষপান করেছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’ একই বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ‘লাশের সুরৎহাল করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’