নড়াইলের লোহাগড়ায় এক বৃদ্ধাকে হ*ত্যার ঘটনায় বাদি পক্ষকে হেনস্তা এবং প্রকৃত দোষীর বিচারের দাবী

0
231

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক বৃদ্ধাকে হ**ত্যার ঘটনায় পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা, বাদি পক্ষকে হে*নস্তা এবং প্রকৃত দোষীর বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নড়াইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন নিহতের পুত্রের সন্তান মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন। এ সময় তার পরিবারের কয়েক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে নয়ন বলেন, লোহাগড়া উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের হাজেরা বেগম ২০১০ সালের ৫ জুলাই তার পিতৃকূলের কয়েক বিঘা জমি তার পূত্র লুৎফর রহমান ও গোলাম রসুলের চার সন্তানের নামে হেবা দলিল করে দেয়। এতে একই পাড়ায় বসবাসকারী হাজেরা বেগমের বড় মেয়ের ছেলেরা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের দু’পরিবারের ওপর হু**মকি ধমকি, মারধর, ফসলের ক্ষতি সাধন, রাতের আঁধারে বাড়িতে ঢিল ছোড়াসহ বিভিন্ন ধরনের অ***ত্যাচার শুরু করে। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রতিপক্ষরা আমাদের পরিবারের ৪জনসহ গ্রামের ১০জনকে কু***পিয়ে জ***খম করে।

এরই জের ধরে এ বছরের ৪ জানুয়ারী গভীর রাতে বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে একটি জমিতে তার দাদী হাজেরা বেগমের জ***বাই করা লা***শ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, দাদীকে দেখা শোনার জন্য ছোট চাচার শ্যালকের পুত্র বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আল আমিন ভূঁইয়া (২৮) বাড়িতে থাকতো এবং দাদীর কক্ষে থাকতো। ঘটনার পরদিন ৫ জানুয়ারী লোহাগড়া থানায় কর্মরত এ.এস.আই ওবায়দুল্লাহ আসামি ফুফাতো ভাইদের ভগ্নিপতি ঘটনার সুরতহাল রিপোর্ট ভালোভাবে না করে এবং কাওকে তেমন কিছু জিজ্ঞাসাবাদ না করেই প্রতিবন্ধী আমিনকে এবং ৬ জানুয়ারী চাচী লায়লী বেগমকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আমিনকে শারীরিকভাবে অ***ত্যাচার করে করে এবং ৮ জানুয়ারী চাচী এ হ***ত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তি নিয়ে ১৬১ ধারা জবানবন্দির ধারাবাহিতকায় ১৬৪ ধারা জবানবন্ধি করা হয়।

পরে ৭ জানুয়ারী চাচা গোলাম রসুল বাদি হয়ে ফুপাতো ভাই ইচামুল মোল্যা, আলীজান মোল্যা, ছলেমান মোল্যা ফুফাতো ভায়ের ছেলে রহমত মোল্যা ও চাচাতো চাচা আতাউর খাঁর নামে লোহাগড়া থানায় হ***ত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ০৭/১৯।

এদিকে এ মামলাকে ভিন্ন খাতে নিতে লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের টাইপকৃত এজাহার বাদ দিয়ে ওসির নিজের মতো করে এজাহার দিতে বাধ্য করেন। এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মিল্টন কুমার দেবদাস সাহা আসামিদের গ্রেফতার করলেও তাদের প্রকৃত জিজ্ঞাসাবাদ না করেই কোর্টে চালান দেয়। ফলে আসামিরা সহজেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।

আমরা মনে করছি কতিপয় পুলিশ কমকর্তার এই পক্ষপাতমূলক আচরণে মামলার প্রকৃত আসামিরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে এবং নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হতে পারে। তাই গত ১৭ এপ্রিল পুলিশ হেড কোয়ার্টারে মামলাটি তদন্তের আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত আগষ্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন (পি.বি.আই.) কে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে বাবা ও মাকে শারীরিকভাবে লা***ঞ্চিত করেছে এবং বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখায়। আমরা বাড়িতে থাকলেও খুব ভয়ে ভয়ে থাকি। যে কোনো সময় তারা আমাদের জীবনহা***নীর মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। এছাড়া এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এ মামলায় আসামিদের পক্ষ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি মামলার তদন্তটি যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, কোনো মহল কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এবং ঘটনার প্রকৃত দোষী যাতে সাজা পায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সে দাবি জানান।