স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়ায় এক বিধবার নামে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত জমির ইজারা অন্যায়ভাবে বাতিল করে অন্য একজনকে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল নড়াইল জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ছোটকালিয়া মৌজায় কালিয়া-মির্জাপুর সড়কের পূর্ব পাশে জে,এল নং-৮৯, খতিয়ান নং-৩, এস এ দাগ নং-০১ হতে ১৪০ বর্গফুট জায়গা জেলা পরিষদ থেকে শাহানারা পারভীন পিয়ারীর নামে ইজারা দেয়া হয়। শাহানারা পারভীন পিয়ারী ইজারা পাওয়ার পর থেকে২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ভূমি নবায়ন কর পরিশোধ করেন এবং ওই জমিতে ঘরের নির্মান কাজ শুরু করেন। ওই দাগের বাকি অংশ স্বপন কুমার দাসের নামে ইজারা দেয়া হয়।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ: সালাম শেখের কন্যা শাহানারা পারভীন পিয়ারী অভিযোগ করেন, স্বপন কুমার দাস স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রানার সহযোগিতায় আমার নামে ইজারাকৃত জমিতে নির্মানাধীন ঘরের ওপর ঘর তৈরির কাজ শুরু করে। আমি জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে তারা জানান, ভূমি নবায়ন কর যথাসময়ে পরিশোধ না করায় আমার নামের বরাদ্দকৃত জমির ইজারা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ইজারা বাতিল করার আগে খাজনা পরিশোধের জন্য জেলা পরিষদ থেকে আমাকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। মাত্র ১ বছরের খাজনা বাকী থাকতে ইজারা বাতিল করা অন্যায়। জেলা পরিষদের অনেক জমির খাজানা বছরের বছর বাকী থাকার অনেক নজিরই আছে। স্বপন কুমার দাস জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সাথে অবৈধ যোগসাজসের মাধ্যমে আমার ইজারা বাতিল করে নিজ নামে ইজারা নিয়েছেন। বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তিনি এ ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে স্বজন কুমার দাস জানান, ওই জমি ২২ বছর পূর্বে কালিয়া পৌরসভা থেকে আমরা বরাদ্দ নিয়েছিলেন। জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোসের সঙ্গে আমার পারিবারিক বিরোধ থাকায় ওই জমি তিনি শাহানারা পারভীনের নামে বরাদ্দ দেন। পরবর্তীকালে জেলা পরিষদ ওই জমি আমাকে বরাদ্দ দিয়েছে।