নিউজ ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ ভ্যান চালক কেরামত হাওলাার দায়ে সাতজনের মৃ*ত্যুদ*ণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ রায় দেন ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়া। এ সময় দ*ণ্ডিত সাতজনের মধ্যে পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দ*ণ্ডিতরা হলেন- জেলার ভাঙার চান্দ্রা গ্রামের আব্দুল মোল্যার ছেলে তোফা মোল্যা, আব্দুল মান্নান ফকিরের ছেলে পলাশ ফকির, সামছুল হক খালাসির ছেলে সিদ্দিক খালাসি, আব্দুল মালেক মাতুব্বরের ছেলে এরশাদ মাতুব্বর, মোসলেমের ছেলে সুরুজ ওরফে সিরাজুল খাঁ, আব্দুল মালেক মাতুব্বরের ছেলে নাইম মাতুব্বর, গিয়াস উদ্দিন মোল্যার ছেলে আনু মোল্যা ওরফে আনোয়ার মোল্যা। এর মধ্যে নাইম মাতুব্বর ও সুরুজ ওরফে সিরাজুল পলাত*ক রয়েছে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি দুলাল চন্দ্র সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপ ভ্যান চালক কেরামত হাওলাদার নি*খোঁজ হন। পরদিন ভোরে পুলিশ ছলিলদিয়া দিঘলকান্দা বিলের ভেতর থেকে তার গ*লা ও পে*ট কা*টা ম*রদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর নিহ*তের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্যাকে আটক করে। আটকের পর সে হ*ত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত সাতজনের মৃ*ত্যুদ*ণ্ড ও একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।