স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির টু-আইসি এএসআই মোঃ লিটনের বিরু*দ্ধে নিরাপরাধ মানুষকে ফাঁড়িতে আটকে মানসিক নি*র্যাতনসহ মা*দক মামলায় ফাঁ*সিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় একজন ভু’ক্তভো’গী মোঃ দীন ইসলাম মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সে উপজেলার পেড়লী গ্রামের ইকবাল শেখের ছেলে।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, দীন ইসলাম কিছুদিন আগে খুলনা বিভাগীয় শহরে ইজিবাইক চালাতেন। বর্তমানে তিনি অন্যপেশা খুজছেন। বিয়ে করার উদ্দেশ্যে তিনি সম্প্রতি নিজ বাড়ি পেড়লীতে আসেন। পাত্রী খোজার কাজে ব্যস্ত থাকার মধ্যে গত ১৪ আক্টেবর সকাল ১১ টার দিকে ওই পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ লিটন ও তার সহযোগী সিপাহী মফিজ দীন ইসলামকে তার বাড়ি থেকে কোন মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই আটক করে পেড়লী পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
জানা যায়, সেখানে আটকে রেখে তাকে নানাভাবে ভ’য়ভী’তি দেখিয়ে মান’সিক নি’র্যাতন শুরু করে। দীন ইসলামকে ছেড়ে দেয়া ও বাড়িতে নিরাপদে থাকার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা তার নিকট ৫০হাজার টাকা দাবি করেন। সারাদিন ফাঁড়িতে আটক রাখার পর রাতে তাকে ইয়া’বার মামলা দিয়ে চালান করে দেয়ার হু*মকি দিলে দীন ইসলামের মা এএসআই লিটনের হাতে পায়ে ধরে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ও বাকি টাকা ১৫দিনের মধ্যে দেয়ার কথা বলে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ছেলেকে ছাড়িয়ে আনেন।
অভিযোগে উঠে আসে, দীন ইসলাম এএসআই লিটনের দাবিকৃত টাকা না দিলে বাড়ি থাকাতো দুরের কথা পেড়লী বাজারেও আসতে পারবে না এই মর্মে হু* মকি দেন। অভিযোগে তারা আরও উল্লেখ করেছে, বাকি টাকা না দিলে আবারও তাকে আটক করে মা*দক বা অন্য কোন মামলায় জড়িয়ে দেয়ারও হু’মকি দিয়েছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার পেড়লী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ লিটন বলেন, ‘দীন ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে ডেকে আনা হয়েছিল। মানবিক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ভ’য়ভী’তি দেখানো হয়নি। অর্থ-দেনের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।’