নিউজ ডেস্ক
ভোলা প্রসঙ্গে আর কোন অপ্রী’তিকর ঘটনা এড়াতে ধৈর্য্যধারণ ও গু’জবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘একটি মহল অস্থি’তিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে অ’পপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি এ বিষয়ে ধৈর্য্যধারণ করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন হিন্দুর ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমা’ননাকারীর বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রবিবার (২০ অক্টোবর) যুবলীগের কাউন্সিলের আগে সংগঠনের ৩৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ ওই হিন্দু ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। সে সাধারণ ডায়েরী করে বলেছে, তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অব’মাননা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে মুসলিম ছেলেটি এ কাজটি করেছে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে (দুই ছেলে আটক)। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদেরও গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি যারা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শি’কারের অ’পচেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
ভোলার ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখনই দেশ অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তখনই এক শ্রেণির লোক সব সময় দেশে অস্থি’তিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অ’পচেষ্টা চালায়। তিনি কোন গু’জবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে বিভিন্নভাবে সমাজ বিপদে পড়তে পারে। তাই প্রত্যেককে প্রকৃত ঘটনা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি কেউ যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির অ’পব্যবহার করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত অ’পরাধীকে চিহ্নিত করতে সহায়তার পরিবর্তে অস্থি’তিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের বিষয় প্রচার না করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, কোন ধর্মের লোকজনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আ’ঘাত করা গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা সরকার চায় ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে সকল ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযু’দ্ধে ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষ ল’ড়াই করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন একজন মুসলমান কিভাবে ফেসবুকে হিন্দুর আইডি ব্যবহার করে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অ’বমাননা করতে পারে। তিনি এটাকে খুবই দুঃখজনক বিষয় উল্লেখ করেন। এই নজিরবিহীন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন ব্যক্তি নিহত এবং আরও অনেকে (দুই শতাধিক) আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন এ ঘটনার পেছনে উদ্দেশ্য কি? কেন লোকজন সমবেত হয়েছে এবং পুলিশের ওপর আ’ক্রমণ চালিয়েছে।
এ সময় মঞ্চে আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি কেবল একজন হিন্দুর ফেসবুক আইডি হ্যাক করেনি, বরং তার (হিন্দু ছেলে) কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন, অন্যথায় তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে আরো মিথ্যা তথ্য দেয়ার হু’মকি দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘একজন মুসলিম কি করে একজন হিন্দুর ফেসবুক ব্যবহার করে রাসুল হযরত মুহম্মদ (সা:) কে অসম্মান করতে পারে।’ যুবকদের দেশের উন্নয়নের প্রধান শক্তি আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘তাদের এই শক্তিকে দেশের কল্যাণ এবং দেশ গড়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে।’ সূত্রঃ বাসস